আজ মহাষ্টমী। শারদীয়া দুর্গাপূজার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এই কুমারী পূজা।
এই মহাতিথিতে কুমারী পূজা হয়ে থাকে। শাস্ত্রকাররা নারীকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে এই পূজা করতে বলেছেন। সনাতন ধর্মে নারীকে সম্মানের আসনে বসানো হয়েছে। হিন্দু শাস্ত্রমতে, ষোল বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা যে কোনো বর্ণ বা গোত্রের কুমারীকে পূজা করা যায়।
শরৎকাল দক্ষিণায়ণ। শরৎকাল দেবতাদের নিদ্রার সময়। তাই ব্রহ্মা স্তব করে দেবীকে জাগরিত করলেন। দেবী তখন কুমারী বেশে এসে ব্রহ্মাকে বললেন, বিল্ববৃক্ষমূলে দুর্গার বোধন করতে।
তখন দেবতারা মর্ত্যে এসে দেখলেন, এক দুর্গম স্থানে একটি বেলগাছের শাখায় সবুজ পাতার রাশির মধ্যে ঘুমিয়ে রয়েছে একটি তপ্তকাঞ্চনা বালিকা। ব্রহ্মা বললেন, এই বালিকাই জগজ্জননী দুর্গা। তিনি বোধন স্তবে তাকে জাগরিত করলেন। ব্রহ্মার স্তবে জাগরিত দেবী বালিকা মূর্তি ত্যাগ করে চণ্ডিকামূর্তি ধারণ করলেন।
সকল নারীর মধ্যে রয়েছে দেবীশক্তি। তবে কুমারী রূপে মা দুর্গা বিশেষভাবে প্রকটিত হয়েছিলেন। তাই কুমারীকে দেবীজ্ঞানে সম্মান জানানোর উদাহরণ হচ্ছে কুমারী পূজা।
নগরের পাথরঘাটা শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ ও শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দিরে আজ মহাঅষ্টমী পুণ্যলগ্নে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে শ্রীমৎ শ্যামল সাধুর পৌরহিত্যে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কুমারী পূজা করা হয় সাত বছর বয়সী সেন্ট যোশেফস স্কুলে অধ্যয়নরত প্রথম শ্রেণির ছাত্রী শ্রেয়া বিশ্বাসকে (তাথৈ) । দেওয়ানজী পুকুর পাড় নিবাসী শ্যাম কুমার বিশ্বাস ও তনিমা বিশ্বাসের কন্যা তাথৈ।
এই পূজা চলাকালে যে কোনো মন্ত্র জপ করলে মা দুর্গা মনের সব আশা পূরণ করেন। বিপদ-আপদ ও রোগ-ব্যাধি মুক্ত রাখেন সন্তানকে।
জয়নিউজ/আরসি