বড় কোনো পরিবর্তন ছাড়াই ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট আজ (বৃহস্পতিবার) পাস হচ্ছে।
জাতীয় সংসদের বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট পাস হবে। গত ৯ জুন ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এরপর গত ২০ দিন সংসদ ও সংসদের বাইরে বাজেট নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটের মূল প্রতিপাদ্য– ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’। প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা।
করছাড় প্রাপ্তি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান ৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এডিপিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।
প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। আগামী বছরের জন্য উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা।
ঘাটতি অর্থায়ন
আড়াই লাখ কোটি টাকার ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেবে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা।
ব্যাংক বহির্ভূত ঋণ নেওয়া হবে ৪০ হাজার ১ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নেবে সরকার।
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত বাজেটের আকার চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৮৪ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা বেশি।
চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এবারের প্রস্তাবিত বাজেট দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাজেট। আবার ঘাটতির দিক থেকেও নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে।
জেএন/এমআর