হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটের প্যাসেঞ্জার’স হোল্ড ব্যাগেজ স্ক্রিনিং রুমের স্ক্যানিং মেশিনে স্ক্যান করার সময় একটি লাগেজে পাওয়া গেছে ৬ কোটি টাকা মূল্যমানের সৌদি রিয়াল।
ঢাকা কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ এসব রিয়াল জব্দ করলেও এসময় লাগেজের মালিক কোন যাত্রীর সন্ধান মেলেনি। তবে তার পরিচয় মিলেছে। গ্রেফতার এড়াতেই মামুন খান নামে ওই যাত্রী বিমানবন্দরে লাগেজ ফেলে পালিয়েছেন।
মামুন খান এমিরেটস এয়ারলাইন্সের (EK 585) ফ্লাইটে দুবাই যাওয়ার জন্য বুধবার (২৯ জুন) রাতে চেক ইন করলেও ইমিগ্রেশন না করেই বিমানবন্দর থেকে পালিয়ে বের হয়ে যান।
ঢাকা কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) মোহাম্মদ আবদুস সাদেক বলেন, বুধবার রাতসাড়ে ৯টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের চেকিং হচ্ছিল। সে সময় তার লাগেজে টাকা পাওয়া যায়। কিন্তু এরপর খোঁজাখুজি করেও লাগেজটির মালিক মামুনকে পাওয়া যায়নি।
পরে এভিয়েশন সিকিউরিটি ও কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তার সহায়তায় লাগেজটি কাস্টমস হলে এনে অন্যান্য সংস্থার উপস্থিতিতে খোলা হয়।
লাগেজে থাকা ৩১টি শার্টের ভেতরের কাগজের বোর্ডের মধ্য মুদ্রাগুলো বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় রাখা ছিল।
তিনি আরও বলেন, যাত্রীকে- খুঁজে না পাওয়া গেলেও, লাগেজের সাথে থাকা ট্যাগ থেকে এমিরেটস কাউন্টার, ইমিগ্রেশন ও এভিয়েশন সিকিউরিটির সহায়তায় যাত্রীর বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় লাগেজের মালিক ইমিগ্রেশন কমপ্লিট না করেই এয়ারপোর্ট প্রস্থান করেছেন বলে জানান তিনি। লাগেজ থেকে আটককৃত সৌদি রিয়ালের পরিমাণ ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০। আটককৃত বৈদেশিক মুদ্রা কাস্টমস গুদামে জমা প্রদান করা হবে।
আটককৃত বৈদেশিক মুদ্রা ও লাগেজ ট্যাগের সাথে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে বর্ণিত যাত্রীর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় ফৌজদারি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান। এছাড়াও কাস্টমস অ্যাক্ট অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানালেন তথ্য দিয়েছেন কাস্টমস হাউজের কর্মকর্তা।
জেএন/পিআর