দেশজুড়ে ডেস্ক : বিয়ের মাত্র ৭ দিন পর মাদকাসক্ত প্রতিবেশীর দায়ের কোপে দিতি (১৮) নামে এক নববধূ নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৯ জুন) রাতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের কালিনগর মহল্লায় ঘটনাটি ঘটে।
একই দিন রাতে একই এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে ও অভিযুক্ত রহুল আমিন (২৫) নিজেই থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে এসে হত্যার কথা স্বীকার করে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকালে নলিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নিহত দিতির গত বৃহস্পতিবার উপজেলার চেল্লাখালী সন্যাসীভিটা এলাকায় খাইরুল নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর দিতিকে বাবার বাড়ি কালিনগরে রেখে স্বামী খাইরুল কর্মস্থল ঢাকায় ফিরে যান।
হঠাৎ করে বুধবার (২৯ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘাতক রহুল আমিন তার ভাবি রাহেলাকে নিয়ে দিতিদের বাড়িতে যান।
এ সময় রাহেলা দিতিকে দরজা খুলতে বললে দিতি দরজা খুললেই মাদকাসক্ত রহুল আমিন দা দিয়ে দিতির মাথায় সজোরে কোপ দেন। এ সময় দিতি চিৎকার দিয়ে ঘরের মেঝেতে পড়ে যান।
এর পরে দিতির মায়ের চিৎকারে স্থানীয়রা দৌড়ে এলে পালিয়ে যান রহুল। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
পরে ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে বুধবার রাত ১১টার দিকে নকলা এলাকায় দিতির মৃত্যু হয়।
নলিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, এ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত রহুল আমিনের ভাবি রাহেলাকে আটক করে পুলিশ।
পরে একই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে রহুল আমিন নিজেই পুলিশের কাছে এসে হত্যার কথা স্বীকার করে।
তিনি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি।
জেএন/পিআর