পবিত্র ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে একটি বড় পশুর হাট বসেছে দক্ষিণ চট্টলার প্রবেশদ্বার কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক আবাসিক মাঠে। ইজারাদার হাজী আব্দুর শুক্কুর এন্ড সন্স ও শাহাবুদ্দিন ডেকোরেটার্স এর পরিচালনাধীন এই হাটটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ১জুন থেকে। চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।
মইজ্জারটেক পশুর হাটের এবারের মূল আর্কষণ এলভিনো জাতের বিরল প্রজাতির দুইটি গোলাপি রঙের মহিষ। মহিষ দুটির মালিক শখ করে তাদের নাম দিয়েছেন “রাজবাবু” আর “পদ্মাসেতু”। ফেমাস এগ্রো ফার্ম নামের প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতা আর্কষণের জন্য মহিষগুলো এনেছেন সিলেট থেকে।
সচরাচর মহিষ হয় কালো রঙের। কিন্তু গোলাপি মহিষ তেমন দেখা না গেলেও এমন গোলাপি রঙের মহিষের দেখাই মিলছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মইজ্জারটেক কোরবানির হাটে।
গত কয়েকদিন ধরে মহিষগুলো দেখতে উৎসুক জনতারা ভিড় করছেন হাটে। মহিষগুলো ৯ মনের এ মহিষগুলোর দাম হাঁকা হয়েছে ৭ লক্ষ টাকা করে।
জানা যায়, কিছুদিন আগে সিলেট থেকে মহিষ দুটি সংগ্রহ করা হয়। যা আনা হয়েছে ভারত থেকে।
গোলাপি রঙের মহিষের আসল নাম এলবিনো। প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোটিতে একটিও এমন মহিষের দেখা পাওয়া যায়। পৃথিবীজুড়েই এখন গোলাপি মহিষ বিলুপ্ত প্রায়। এমন কিছু মহিষ এখনও আছে পাশের দেশ ভারতে। মহিষ দুটির একত্রে দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। তবে এখন পর্যন্ত দুটি মহিষের দাম ৮/৯ লাখ টাকার বেশি উঠেনি। প্রতিদিনই ক্রেতা আসলেও দশলাখের বেশি উঠছে না দাম। ফলে শনিবার (২ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্রি হয়নি।
সিরাজুল ইসলাম জানান, এ দুইটি মহিষ ১৫ লাখ না হলেও কাছাকাছি দাম পেলে তিনি মহিষ দুটি বিক্রি করে দেবেন। কেননা, এসব মহিষের খাবারের পেছনে তার প্রতিদিন বিপুল অর্থ খরচ হচ্ছে।
জেএন/এমআর