তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির ঈদের পর আন্দোলন, শীতের পর আন্দোলন, পরীক্ষার পর আন্দোলন, এটি গত ১৩ বছর ধরে শুনে আসছি।
রোববার (৩ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে সম্পাদক ফোরামের সাথে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, এটা কি এই ঈদের পরে বলেছে, নাকি কোন ঈদের বলেছে, সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বের করতে হবে। এসব কথা বলে তারা নিজেদের হাসির পাত্র করছে। আমি আশা করব, এসব হাস্যকর বক্তব্য দেবেন না।
তিনি বলেন, জনগণ তাদের আন্দোলনে কখনো সাড়া দেয়নি। জনগণ তাদের ওপর নানা কারণে বিরাগ। কারণ তারা জনগণের বিষয় নিয়ে আন্দোলন করে না। জনগণের বিষয় নিয়ে তারা কথা বলেন না। তারা কথা বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে আর তারেক জিয়ার শাস্তি নিয়ে এবং জনগণের ওপর তারা পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করেন।
আমি আশা করব, তারা জনগণের কাছে যাবেন। আন্দোলন এ ঈদের পর করবে, পরীক্ষার পর করব, শীতের পর করব, বর্ষার পর করব এসব বলে তারা নিজেদের ক্রমাগত হাসির পাত্রে পরিণত করছে। যা দেখে রাজনীতিবিদ হিসাবে আমারও কষ্ট লাগছে, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
গায়েবি পত্রিকা বন্ধের প্রক্রিয়া অব্যাহত
হঠাৎ-হঠাৎ বের হওয়া দেশের অসংখ্য গায়েবি পত্রিকা বন্ধের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
ময়মনসিংহে ৯৭টি পত্রিকা প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেন, গায়েবি পত্রিকা যেগুলো হঠাৎ হঠাৎ বের হয় সেগুলো বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। অনেকগুলোর ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়েছে, এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, ভুঁইফোড় সাংবাদিকের বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। সেটি নিয়ে প্রেস কাউন্সিল কাজ করছে। সাংবাদিকদের একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। কারা সাংবাদিক তাদের ডাটাবেজ করা হচ্ছে। ডাটাবেজ তৈরি হলে কে তালিকায় আছেন আর কে তালিকায় নেই, সেটি বের হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার, বাংলাদেশের খবরের সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সংবাদ প্রতিদিনের সম্পাদক রিমন মাহফুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এমআর