চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জহিরুল হক ঘাঁটি সংলগ্ন সড়কটি স্কোয়াড্রন লিডার মরহুম শাফায়াত সরওয়ারে নামে সড়কের নামকরণ এবং ফলক উন্মোচন করেছেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত ফলক উন্মোচন ও নামকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিমানবাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৯৭১ সালে বিমান বাহিনীর চৌকস অফিসাররা জীবন বাজি রেখে যে অভিযান পরিচালনা করেছেন তার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দ্বার উন্মোচিত হয়েছিল যা ইতিহাসে গৌরবের অধ্যায় হিসেবে সাক্ষ্য বহন করবে।
তিনি আরো বলেন, স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়েত সরোয়ার ছিলেন একজন চৌকস কর্মকর্তা। তিনি সাহস ও মেধা দিয়ে বিমান বাহিনীতে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এক মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় তাকে প্রাণ দিতে হয়। এই ধরনের চৌকস অফিসারদের আত্মত্যাগের ফলে বাংলাদেশের বিমান বাহিনী আজ বিশেষ মর্যাদার আসনে আসীন হয়েছে।
মেয়র আরো বলেন, এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা অবদান রেখেছেন তাদের স্মরণীয় করে রাখার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থান তাদের নামে নামকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এবং নাম ফলকে তাদের কীর্তিগাঁথা লিপিবদ্ধ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অমরকীর্তি সম্পর্কে জানার দ্বার উন্মোচন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে জহিরুল হক ঘাঁটির সন্মুখ সড়কটি এই সাহসী স্কোয়াড্রন লিডারের নামে নামকরণ করা হলো।
উল্লেখ্য, স্কোয়াড্রন লিডার সাফায়েত সরোয়ার ২০১৫ সালের ২৫ শে মে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারান।
নামফলক উম্মোচনকালে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জহিরুল হক ঘাঁটির ইয়ার কমান্ডিং অফিসার এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বিএসপি, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালেহ আহমদ চৌধুরী, চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, মরহুমের পিতা সরওয়ার মোঃ শহিদ উল্লাহ ও মাতা কোহিনুর আক্তার প্রমুখ।
জেএন/এমআর