এজবাস্টনে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। এই জয়ে ২-২ এ ড্র হল বহুল আলোচিত এই সিরিজ, যার পঞ্চম ম্যাচ গত বছর করোনার কারণে স্থগিতাদেশ পেয়েছিল। জো রুট ও জনি বেয়ারস্টোর বীরোচিত ব্যাটিংয়ে এবারই প্রথম কোনো দল ৩০০ বা তারও বেশি রান তাড়া করে জয় পেল এজবাস্টনে। এছাড়া রান তাড়ায় এটাই ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয়, অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে পাওয়া জয়।
সিরিজ হার এড়াতে হলে এজবাস্টন টেস্টে ইংল্যান্ডের জয়ের বিকল্প ছিল না। যদিও ম্যাচের প্রথম তিন দিন ভারত একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়েছে। ৩৭৮ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে ভারত ইংল্যান্ডের জয়ের পথটাও কঠিন করে তুলেছিল। তবে ইংলিশদের ওয়ানডে মেজাজের ব্যাটিং বিরাট কোহলিদের সাজানো বিরাট লক্ষ্যের দেয়াল টপকে যায় অনায়াসেই।
৩ উইকেটে ১২৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে খেলতে নামা ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ২৪৫ রানে। তখনও বেন স্টোকসের দলের জয়কে অসম্ভব মনে হচ্ছিল, কারণ এজবাস্টনে কোনো দলই ৩০০ বা তার বেশি রান তাড়া করে জিততে পারেনি। তবে ভারতের স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করে দুই ওপেনার অ্যালেক্স লিস ও জ্যাক ক্রোলি ওয়ানডে মেজাজে ইনিংস শুরু করেন। ১০৭ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ক্রোলির বিদায়ে (৭৬ বলে ৪৬ রান)। অল পোপ ডাকের শিকার হওয়ার পর ১০৯ রানে থামতে হয় লিসকেও। তার আগে ৬৫ বলে ৫৬ রান করেন এই ওপেনার।
এরপর প্রতিরোধ গড়েন তোলেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা জো রুট ও জনি বেয়ারস্টো। চতুর্থ উইকেটে দেড়শ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দুজনে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেন। শেষ দিনে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল আরও ১১৯ রান।
কাঙ্ক্ষিত সেই রানের জন্য পঞ্চম দিনের শুরু থেকেই ভারতের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন রুট ও বেয়ারস্টো। অবিশ্বাস্য ছন্দে থাকা রুট হাঁকান ক্যারিয়ারের ২৮তম সেঞ্চুরি। বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনিই এখন সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক।
এরপর সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন বেয়ারস্টোও। শেষপর্যন্ত ইংল্যান্ডের আর কোনো উইকেটের পতনই ঘটেনি। প্রথম সেশনেই স্টোকসের দল পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। ৭৬.৪ ওভারে ওভারপ্রতি প্রায় ৫ রান তুলে ইংল্যান্ড জয় নিশ্চিত করে। রুট ১৭৩ বলে ১৪২ ও বেয়ারস্টো ১৪৫ বলে ১১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।
জেএন/এমআর