মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন জেলে সম্প্রতি অত্যন্ত বিরল নীল রঙের একটি গলদা চিংড়ি ধরেছেন। আর এই ধরনের চিংড়ি প্রতি ১০ লাখ থেকে ২০ লাখের মধ্যে মাত্র একটি পাওয়া যেতে পারে বলে মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন।
এক জেলের জালে ধরা পড়া বিরল চিংড়ির ছবি টুইটারে শেয়ার করে সুইডিশ চিকিৎসা বিজ্ঞানী লার্স-জোহান লারসন বলেছেন, এই নীল গলদা চিংড়িটি গতকাল পোর্টল্যান্ডের উপকূলে ধরা পড়েছিল। এটি যাতে আরও বড় হয়, সেজন্য পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
লারসনের এই টুইট মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। ইতোমধ্যে টুইটারে তার এই টুইটে লাইক দিয়েছেন ৫ লাখের বেশি মানুষ এবং রিটুইট করেছেন ৪৪ হাজারের বেশি।
টুইটের নিচে অনেকেই নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, হায় ঈশ্বর! আমি জীবনে এটা দেখিনি… লালের বদলে আশ্চর্যজনক নীল….। অপর একজন ব্যবহারকারী রসিকতা করে লিখেছেন, ‘আপনি জানেন বন্ধুরাও এ রকম, ওহ ফ্র্যাঙ্ক এখানে আসো! সে সবসময় ধরা পড়ে এবং তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়, কারণ সে নীল!’
তবে কেউ কেউ এমন বিরল নীল রঙের গলদা চিংড়ি ধরেছিলেন বলেও কমেন্ট করেছেন। একজন লিখেছেন, লং আইল্যান্ড সাউন্ডে ১৯৯৩ সালের গ্রীষ্মের সময় তিনি এমন নীল রঙের একটি গলদা ধরেছিলেন। সেই চিংড়িটি একটি অ্যাকুয়ারিয়ামে দান করেছি, যাতে সেটি দীর্ঘসময় বাঁচতে পারে…। এটা দেখতে অত্যন্ত সুন্দর ছিল।
আরেকজন লিখেছেন, ‘আমরা ১৫ বছর আগে নর্থ হ্যাভেনে একটি নীল গলদা চিংড়ি ধরেছিলাম। আমরা এটিকে ছেড়েও দিয়েছি।’
সাধারণত বেশিরভাগ গলদা চিংড়ি কর্দমাক্ত বাদামি অথবা লাল রঙের হয়। ইউনিভার্সিটি অব মেইনির লবস্টার ইনস্টিটিউটের মতে, নীল গলদা চিংড়ি অত্যন্ত বিরল। এ ধরনের চিংড়ি ২০ লাখের মধ্যে একটি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
জিনগত অস্বাভাবিকতার কারণে গলদা চিংড়ির রঙ নীল হয়। আর অন্যান্য চিংড়ির তুলনায় নীল গলদার শরীরে বিশেষ ধরনের প্রোটিন বেশি উৎপাদন হয়।
জেএন/এমআর