তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভোটকেন্দ্র দখল ও গোপনে সিল মারার অপসংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতেই ইভিএমকে ভয় পায় বিএনপি।
তিনি আজ বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড: ইঞ্জিনিয়ার রশিদ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো: তাজুল ইসলামসহ প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ড. হাছান বলেন, ‘প্রথমত কেউ তো জোর করে ক্ষমতায় থাকতে পারে না, জোর করে কেউ ক্ষমতায় যেতেও পারে না। যারা জনগণের জন্য রাজনীতি করে তারা তো জোর করে ক্ষমতায় যাওয়ার কথা ভাবেও না। যদিও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জোর করে ক্ষমতায় গিয়েছিলেন। তিনি বন্দুক উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছিলেন এবং জোর করে ক্ষমতায় ছিলেন। আমাদের সরকার জনগণের রায় নিয়েই ক্ষমতায় আছে, পরপর তিনটি নির্বাচনে জয়লাভ করেই আমরা সরকার গঠন করেছি।’
গত নির্বাচনে বিএনপি ডান-বাম, অতিডান-অতিবাম সবাইকে নিয়ে জোট গঠন করে এবং পাঁচটি আসন পায় বলে উল্লেখ করেন সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আর শুধু ইভিএম নয়, বিএনপি তো সবসময় প্রযুক্তিকে ভয় পায়। বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন বিনা পয়সায় সাবমেরিন কেবল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো আর তিনি বলেছিলেন এটি বসালে বাংলাদেশের গোপনীয়তা নষ্ট হবে। এই বলে সেটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, যে সাবমেরিন কেবল পরবর্তীতে শতশত কোটি টাকা খরচ করে আমাদের বসাতে হয়েছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দুনিয়ার সমস্ত উন্নত দেশে ইভিএম বা ইলেক্ট্রনিক ভোটের মেশিনের মাধ্যমে ভোট হচ্ছে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া এমনকি মালয়েশিয়াতেও হয়। দুনিয়ার সব জায়গায় হয় আর আমাদের দেশে যখন আমাদের দল ইভিএমের মাধ্যমে ভোট করার প্রস্তাব দিয়েছে, এটি আমরা না দিয়ে অন্য কেউ দিলে উনারা পছন্দ করতেন বলে আমার ধারণা। আমরা প্রস্তাব দেয়ার পর থেকেই এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন। তার মানে উনারা চায় যে, ভোট কেন্দ্র দখল, সিলমারা, যেগুলো জিয়াউর রহমান সাহেব চালু করেছিলেন, সেই অপসংস্কৃতিটা থাকুক। সেই অপসংস্কৃতিকে যদি বন্ধ করতে হয়, ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নাই। কিন্তু তারা এটাকে ভয় পায়।’
জেএন/এমআর