ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি দুই কাতারের মাঝে এক কাতারের সমান জায়গা ফাঁকা রেখে দাঁড়াতে বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বেড়ে যাওয়ায় ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ এমন আট দফা নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার সিনিয়র সহকারী সচিব মোস্তফা কাইয়ুমের সই করা এই নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সবাইকে মেনে চলার অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নির্দেশনায় যা আছে
১. পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা যাবে না।
২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে ঈদগাহে বা মসজিদে আসতে হবে।
৩. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদ/ঈদগাহের অজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
৪. ঈদের নামাজের জামায়াতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদ/ঈদগাহে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৫. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।
৬. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব ও ইমামদের দোয়া করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
৭. সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
৮. পশু কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
জেএন/এমআর