চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫৭ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ সময় শহর ও গ্রামে করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, নগরীর দশ ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে গত ২৪ ঘন্টায় ৪৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৫৭ জনের মধ্যে শহরের ৪৪ ও ছয় উপজেলার ১৩ জন। উপজেলার ১৩ জনের মধ্যে ফটিকছড়ি ও বোয়ালখালীতে ৪ জন করে, পটিয়ায় ২ জন এবং হাটহাজারী, লোহাগাড়া ও বাঁশখালীতে একজন করে রয়েছেন।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৬৪ জনে। এর মধ্যে শহরের ৯৩ হাজার ২ এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৬৬২ জন।
গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৫ জন রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৫ ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ল্যাবরেটরি এপিক হেলথ কেয়ারে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ৬ জন পজিটিভ শনাক্ত হন।
ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৭০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১২ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৭২ জনের নমুনায় শহরের ১০ ও গ্রামের ৮ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৭ নমুনার মধ্যে শহরের ২টিতে জীবাণু চিহ্নিত হয়।
নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৩৫ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৩ জন সংক্রমিত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ২ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩৮টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩ ও গ্রামের একটিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২০ নমুনার মধ্যে শহরের ২টিতে করোনার উপস্থিতি মিলে। মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১৪ জনের নমুনায় শহরের একজনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৫টি নমুনা পরীক্ষায় সবগুলোরই নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৬০ নমুনার মধ্যে শহরের ৫ ও গ্রামের একটিতে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৬ নমুনায় শহরের একটিতে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলেছে।
রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ১৭ দশমিক ১৪, চমেকহা’য় ২৫, আরটিআরএলে ২৮ দশমিক ৫৭, শেভরনে ৬ দশমিক ৬৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১০ দশমিক ৫২ শতাংশ, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১০ শতাংশ, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৭ দশমিক ১৪, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ০, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১০ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ১৬ দশমিক ৬৬ এবং এন্টিজেন টেস্টে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
জেএন/এমআর