চট্টগ্রামে ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

চট্টগ্রামে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করছেন।

- Advertisement -

রোববার (১০ জুলাই) সকাল পৌনে ৮টায় নগরের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধানে ঈদ জামাতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব হযরতুল আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী। একই স্থানে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

- Advertisement -google news follower

জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এম এ আজিজ স্টেডিয়াম-সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর লালদীঘি শাহী জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। এ ছাড়া নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে একটি করে প্রধান জামাতের পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে নগরীতে আরও আটটি বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

খতিব এ সময় খুতবা পাঠ করেন। খুতবা পড়ার সময় কিভাবে কোরবানি করতে হবে, কোরবানির মাংস কিভাবে বিলিবন্টন করতে হবে ইত্যাদি সম্পর্কে বয়ান করেন। এছাড়াও বয়ানে করোনাভাইরাস ও চলমান প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে দেশবাসীকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে তিনি ফরিয়াদ জানান। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় শেষে আল্লাহর কাছে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করা হয়। এরপর প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী কোলাকুলি করেন অনেকে।

- Advertisement -islamibank

জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মো. নাসির উদ্দীন, সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন অংশ নেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, খাদ্যের মূল্য বেড়েছে। এবারের ঈদে মহান রাব্বুল আল-আমিনের কাছে দোয়া করেছি, যারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, তাদের যেন আল্লাহ রহমত দেন। এ কষ্ট থেকে আমাদের যাতে মুক্তি দেয়। এ যুদ্ধের যেন অবসান হয়। আর, কোরবানিতে যে চামড়া উৎপাদন হবে, সেগুলো যাতে ভালোভাবে সংরক্ষণ করা হয়। আমরা বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে জ্বালানি তেল ক্রয় করি। জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়েছে, তাই বৈদেশিক মুদ্রার বেশি প্রয়োজন। তাই, আমাদের চামড়া সংরক্ষণে আন্তরিক হতে হবে। আর, বন্যায় অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাঁরা সামর্থ্যবান, তাঁরা যাতে অসহায়দের সাহায্য করেন।’

নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের দুইশর বেশি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদ জামাত শেষে শুরু হয় পশু কোরবানির তোড়জোড়। ভোরেই কোরবানি করার জন্য পশুকে গোসল করিয়ে প্রস্তুত করে রাখা হয়। মহামারি সত্ত্বেও অনেকে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে ছুটে গেছেন গ্রামে। অনেকে যেতে পারেননি বা যাননি। যারা শহরে রয়ে গেছেন, তারা নিজেদের ও প্রিয়জনের নামে পশু কোরবানি দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ে সচেষ্ট হয়েছেন। পরে সমাজের দরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে কোরবানির মাংস বিলি করেন সামর্থ্যবানরা।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM