তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। মিরাজ-শরিফুলের দাপুটে বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৯ রানে আটকে ৩১.৫ ওভারেই ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা।
গায়ানায় সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ম্যাচে একাধিকবার আম্পায়ারের সাথে তর্কে জড়ান তামিম ইকবাল। তবে টাইগারদের বিপক্ষে বিতর্কিত ‘সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জয়ে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।
বাংলাদেশের বোলারদের দারুণ নৈপুণ্যের সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পড়ে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে। শামার ব্রুকস ছাড়া কেউই বলার মত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। ফলে শরিফুল-মিরাজরা গোটা ইনিংস জুড়েই দাপট দেখিয়েছেন।
বৃষ্টির কারণে ৪১ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ক্যারিবীয়রা অবশ্য পুরো ওভারই ব্যাট করেছে। টেল এন্ডারের দৃঢ়তা এনে দিয়েছে ১৪৯ রানের পুঁজি।
বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল ইসলাম চারটি (৮ ওভারে ৩৪ রানের খরচায়) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (৯ ওভারে ৩৬ রানের খরচায়) তিনটি উইকেট শিকার করেন। একটি উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ কোনো উইকেট না পেলেও ৮ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ১৬ রান, পেয়েছেন তিনটি মেডেন ওভার। তাসকিন আহমেদ ৮ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২৫ রান।
স্বাগতিকদের অল্প রানে বেঁধে রাখলেও ক্যাচ হাতছাড়ার মহড়া অবশ্য দেখা গেছে এই ম্যাচেও। ৯ উইকেটের পতনের পর মোট ৩টি ক্যাচ ফসকেছে টাইগারদের হাত থেকে! ৩৪তম ওভারে ১১০ রানে ৯ম উইকেটের পতন ঘটালেও শেষপর্যন্ত আর অলআউট করা যায়নি।
ফলে শেষ উইকেট জুটি ক্যারিবীয়দের এনে দিয়েছে ৩৯ রান। অ্যান্ডারসন ফিলিপ ২২ বলে ২১ ও জায়ডেন সিলস ২৩ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ জিততে হলে ৪১ ওভার অর্থাৎ ২৪৬ বলে বাংলাদেশকে তাড়া করতে হবে ১৫০ রান।
তুলনামূলক সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ বলে ১ রান করে তৃতীয় ওভারেই আউট হন লিটন দাস। অকিল হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। তামিম খেলছিলেন দারুণ গতিতে। কিন্তু সেই গতিতে বাঁধা হয়ে আসে ফিলিপের দুর্দান্ত এক থ্রো, রানআউট হন তামিম। ২৫ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিনি হাঁকান চারটি চার ও একটি ছক্কা। ৪৯ রানে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তৃতীয় উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি ক্যাচ আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। শান্ত করেন ৪৬ বলে ৩৭ রান। আফিফ হোসেন দ্রুত সাজঘরের পথ ধরেন। ১৭ বলে ৯ রান করেন তিনি। ১১১ রানে চার চলে যায় টাইগারদের।
সোহানকে নিয়ে ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন রিয়াদ। সোহানের ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে অপরাজেয় ২০ রান। রিয়াদ দুইটি চার ও এক ছক্কায় ৬৯ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশ পায় ছয় উইকেটের জয়। ফলে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা। ম্যাচসেরা হয়েছেন মিরাজ।
জেএন/এমআর