কিংবদন্তী আইয়ুব বাচ্চু আর নেই। সর্বশেষ রংপুর থেকে কনসার্ট করে আসা আইয়ুব বাচ্চুর আগামী ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে গানে গানে দর্শক মাতানোর সব আয়োজন ছিল প্রস্তুত। সেই আইয়ুব বাচ্চু চট্টগ্রামে আসছেন ঠিকই, তবে নিথর দেহ হয়েই। আগামী শনিবার (২০ অক্টোবর) তার মরদেহ চট্টগ্রামে আনা হবে।
সর্বশেষ ১৩ অক্টোবর চট্টগ্রামের জিইসি কনভেনশন হলে গেয়েছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। পরে তিনি তার ফেইসবুক পেইজে লিখেছিলেন, ‘শীঘ্রই দেখা হচ্ছে চট্টগ্রাম। তোমাদের ভালোবাসি সব সময়’। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে নিজের বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রামের সাথে যে আইয়ুব বাচ্চুর ছিল নাড়ির টান। ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম আইয়ুব বাচ্চুর। যখনই চট্টগ্রাম থেকে ডাক এসেছে কনসার্টের, তিনি নিরাশ করেননি ভক্ত শ্রোতাদের।
আইয়ুব বাচ্চুকে তার চট্টগ্রামের নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে চিরসমাহিত করা হবে। তার আগে ঢাকায় এই শিল্পীর নামাজে জানাজা হবে জাতীয় ঈদগাহের পাশে হাইকোর্ট মসজিদে। বৃহস্পতিবার সকালে আইয়ুব বাচ্চুর প্রয়াণের পর দুপুরে পরিবারের পক্ষ থেকে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এ তথ্য জানান।
চট্টগ্রামের অলি গলিতে বেড়ে উঠা বাচ্চু শৈশব থেকেই গান শুনতেন প্রচুর। একসময় নিজেও গাইতে শুরু করেন। এরপর শুরু করেন গিটার চর্চাও। ফিলিংস নামের একটি ব্যান্ড দলের হয়ে কাজ শুরুর আগে বন্ধুবান্ধবদের সাথে গোল্ডেন বয়েজ, আগলি বয়েজ, স্পাইডার নামের বিভিন্ন ব্যান্ড দল গড়েছিলেন তিনি। ফিলিংস-এর হয়ে চট্টগ্রামে একটি হোটেলে গান করতেন তারা। এরপর ১৯৮০ সালে সোল্স-এ কাজ শুরু করেন।
১৯৯১ সালের ৫ এপ্রিল গড়ে তোলেন নতুন ব্যান্ড ‘এলআরবি’।