রাজধানীর হাসপাতালে কোভিড আইসিইউতে ভর্তি রোগীর ৯০ শতাংশের বয়স ষাটের বেশি। কিংবা ভুগছেন দীর্ঘমেয়াদি কোনো না কোনো রোগে। চিকিৎসকরা বলছেন, সংক্রমণের হার কমবেশি হলেও যাদের দীর্ঘমেয়াদি রোগ রয়েছে, তারা করোনা থেকে কখনোই ঝুঁকিমুক্ত নয়।
বুধবারের স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া তথ্য বলছে, রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি ৩২টি হাসপাতালে কোভিড নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি আছেন ৩৬ জন। তার মধ্যে ২৭ জনই ষাটোর্ধ্ব আর বাকিরাও ভুগছেন কিডনি, হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপজনিত নানা দীর্ঘমেয়াদি রোগ নিয়ে।
ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, আগে থেকেই অন্যান্য রোগে আক্রান্ত যেসব রোগী তারা কোভিড আক্রান্ত হয়ে আমাদের এখানে তাদের নিয়ে আসছেন। কিছু কিছু রোগীর মৃত্যু হচ্ছে, যাদের করোনার প্রভাবটা বেশি।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কেএম শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, গত ১২ জুন যেখানে ভর্তি রোগীর সংখ্যা পাঁচজন ছিল, ২৫ তারিখে ৫৮ জন, ২৮ জুনে সেই সংখ্যা ছিল ৫৩ জন। গত ৪ জুলাইয়ে ভর্তি হয় ৪৯ জন রোগী। ঈদের কারণে রোগীর সংখ্যা কিছুটা কম হলেও শঙ্কা কম নয়।
তিনি আরও বলেন, বেশির ভাগই দেখা যাচ্ছে করোনার সঙ্গে সঙ্গে অন্য রোগও যাদের আগে থেকে আছে তারা সিরিয়াস হচ্ছে বেশি। করোনার আক্রান্ত হয়েও অনেকে শুরু থেকে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না। বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সিভিয়ার হওয়ার পর হাসপাতালে আসছেন।
তাইতো বিশেষজ্ঞরা বরাবরই একটাই কথা সবসময়ই বলছেন, করোনা রোধে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ইমেরিটাস অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, অন্তত আপনারা সবাই মাস্ক পরুন। এটা পরতেই হবে আমাদের। একমাত্র মাস্ককে আমরা বলি প্রথম ভ্যাকসিন। অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। আর যারা টিকা নেননি অবশ্যই তারা টিকা নিয়ে নেবেন।
জয়নিউজ/পিডি