চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানাস্থ নতুন ব্রীজ এলাকায় দুবৃর্ত্তদের হামলায় নিহত হয়েছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ (৪০) নামে হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার।
তার মৃত্যু ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে রহস্যজট। শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মৃত্যুর আগে তাকে ইলেকট্রিক শর্ট ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকাল ৬ টার দিকে নতুন ব্রিজ সংলগ্ন বালির মাঠ থেকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত নুরুল ইসলাম নাহিদ চান্দগাঁও থানার চেয়ারম্যান ঘাটা শামসুর কলোনীর মৃত আকবর আহমদের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে জানা গেছে।
নাহিদকে বহনকারী সিএনজি অটোরিকশা চালক জানান, বালির মাঠ এলাকা থেকে আহত নুরুল ইসলাম নাহিদকে কয়েকজন লোক আমার গাড়িতে তুলে দেন।
পরে অজ্ঞাত দুজন ব্যক্তিসহ আহত নাহিদকে মেডিকেল পৌছে দেওয়ার জন্য তিনশ টাকা ভাড়ায় চুক্তি করে মেডিকেলের উদ্দ্যেশে রওনা দিলে মাঝ পথে দুই ব্যক্তি গাড়ি দাঁড় করিয়ে পালিয়ে যায়।
পালিয়ে যাওয়ার আগে জানিয়েছেন নাহিদের স্ত্রী ও মেয়ে বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার যমুনা ক্লাবের সামনে অপেক্ষা করছে। কথামতো যমুনা ক্লাবের সামনে থেকে তাদের তুলে নিয়ে চমেকে পৌছায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত নাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে দুজন ব্যক্তির কাছে জানতে পারি নাহিদ আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। এর কিছুক্ষণ পরেই সিএনজি করে নাহিদকে চমেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক নাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান বলেন, বাকলিয়া থেকে আহত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে চমেকে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভিকটিমকে ইলেকট্রিক শর্ট এবং পাশবিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে তিনি ধারণা করছেন।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান জানান, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার হাতের তালুতে গভীর ক্ষত রয়েছে। বিভিন্ন অংশে পুড়ে গেছে।
এই ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে জানিয়ে সন্দেহভাজন অজ্ঞাত যে দুই ব্যক্তির তথ্য উঠে এসেছে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।
জেএন/পিআর