চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীর বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের অতন্দ্র প্রহরী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ার কারণে আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম লাল সবুজের বাংলাদেশ পেয়েছি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অবিস্মরণীয়। এ দেশ স্বাধীন না হলে আমারা আজ এ পর্যায়ে আসতে পারতাম না। জাতির পিতার নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সমগ্র জাতিকে পরাধীনতার দায়ী থেকে মুক্ত করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ কখনো শোধ করা যাবেনা, অনুভব করা যায়। তাঁদের নিকট থেকে সংবর্ধনা গ্রহণের বিষয়টি সারাজীবনের জন্য বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ সম্মান সর্বোচ্চ সম্মান ও ভবিষ্যতে কর্মজীবনে আরো বেশি সাহস যুগাবে। যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে নিজেকে নিয়োজিত রাখার পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অন্তরের অন্তস্থলে ধারণ করবো।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ড কর্তৃক দামপাড়াস্থ সিএমপি’রসম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বে সংসদের অধীন সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দরা ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে পুলিশ কমিশনারকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করেন।
সিএমপি কমিশনার বলেন, তাই স্বাধীন বাংলাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান চির অম্লান হয়ে থাকবে। চাকুরী জীবনে যখন যে অবস্থানে থেকেছি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও করে যাবো। চাকুরী জীবনে চট্টগ্রামের সাথে আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার হিসেবে চট্টগ্রামে আসার পর থেকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় কাজ করার মাধ্যমে নগরীর আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি অন্যান্য স্থানের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মুলে চট্টগ্রাম নগরবাসী আমাদেরকে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অকৃত্রিম বন্ধু সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বিদায়ী পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জগণ (ওসি) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত উপহার সামগ্রী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। জাতীয় দিবসগুলোতে সিএমপি কমিশনার কর্তৃক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। এ কমিশনারের অবদান বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্মরণ রাখবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের মহাসড়কে সবাইকে সামিল হওয়ার আহবান জানান তিনি।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) আমীর জাফর (অতিরিক্ত ডিআইজি), কমিউনিটি পুলিশিং চট্টগ্রাম মহানগরের সদস্য সচিব অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক, মহানগর ইউনিটের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম (যুদ্ধাহত), সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম সাক্ষী কাজী নুরুল আবছার, আকবর শাহ থানার ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূর উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুরুর রহমান, সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী, সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের উপদেষ্টা নওশাদ মাহমুদ রানা, সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, মহানগর কমিটির আহবায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু প্রমূখ। উপস্থিত ছিলেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অধীন কোতোয়ালী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৌরিন্দ্র নাথ সেন, চান্দগাঁও কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কুতুব উদ্দিন, পাঁচলাইশ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ মিয়া, বাকলিয়া কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন, খুলশী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইউছুফ, পতেঙ্গা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জাগির হোসেন, আকবর শাহ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সেলিম উল্লাহ, পাহাড়তলী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী জাফর আহমদ, হালিশহর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইউনুস, ইপিজেড কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম, বন্দর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল আলম জতু, সদরঘাট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, ডবলমুরিং কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা দোস্ত মোহাম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা যথাক্রমে আবদুল হাফেজ, শামসুল আলম, আবদুস ছবুর, এস.এম ময়নূল হোসেন, সৈয়দ আহমদ, আবুল কাশেম, গোলাম নবী, শহীদুল ইসলাম দুলু, আবদুর রব কায়েস, সৈয়দ আবদুল গণি, প্রণাল চৌধুরী, লিয়াকত হোসেন, আবদুল লতিফ, আবুল হোসেন, নূর মিয়া, প্রশান্ত সিংহ প্রমূখ।