পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরু চলতি মাসেই করার আশা ব্যক্ত করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, বড় ধরনের একটি বাধা ছিল ব্রিজের ওপরের কাজ। শনিবার সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের বৈঠক আছে। আশা করছি এ মাসে কিংবা এই সপ্তাহের মধ্যেই ব্রিজের ওপর কাজ করার অনুমতি পাব।
আজ শুক্রবার (১৫ জুলাই) দুপুরে মুন্সিগঞ্জে মাওয়ায় পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্প পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ঢাকা-ভাঙ্গা-যশোর রেল সংযোগ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬১ শতাংশ এগিয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুনে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হবে। প্রকল্পটি সময়মতো বাস্তবায়ন করতে তিনভাগে কাজগুলো করতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সে পরিকল্পনায় ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত একটি অংশ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত একটি অংশ এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত আরেকটি অংশ।’
তিনি বলেন, এর মধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত কাজ এগিয়েছে ৬৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮০ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৯১ শতাংশ। পরিকল্পনা রয়েছে ২০২৩ সালের জুনে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইন পদ্মা সেতুর সঙ্গে যুক্ত করার।
এদিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু ও রেলসংযোগ প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্টের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন বলেন, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরু হলে শেষ হতে ৬ মাসের মতো সময় লাগবে। এ সময় আমরা মনিটরিং করব ভাইব্রেশনে (সড়ক পথে যান চলাচলের) কোনো প্রভাব আছে কি না, এ জন্য বিশেষজ্ঞ প্যানেল নিয়োগ করা হয়েছে। যদিও সেতু কর্তৃপক্ষ বলেছে নকশা অনুযায়ী ভাইব্রেশনের প্রভাব থাকবে না।
তিনি ছাড়াও রেলমন্ত্রীর পরিদর্শনে অন্যদের মধ্যে রেলওয়ের ডিজি ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এমআর