বিশ্বের অন্যতম বড় ক্যামেরা ব্র্যান্ড নিকন ডিজিটাল সিঙ্গেল রিফ্লেক্স ক্যামেরা বা ডিএসএলআর ক্যামেরার বাজার ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মিররলেস ক্যামেরা খাতে সামনে মনোযোগী হবে প্রতিষ্ঠানটি।
স্মার্টফোন ক্যামেরার যুগে ঐতিহ্যবাহী ক্যামেরা নির্মাতারা যে বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, তার মধ্যে নিজেদের ব্যবসায়ীক নীতি পরিবর্তনের এ আভাস এসেছে নিকনের কাছ থেকে। নিকন যদি ডিএসএলআর ক্যামেরা তৈরি বন্ধ করে দেয়, তবে বাজারে এর বড় একটা প্রভাব পড়বে।
ঠিক কবে থেকে নিকন ডিএসএলআর তৈরি বন্ধ করবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে প্রতিষ্ঠানটির পরবর্তী সিরিজের পণ্যগুলো যদি মিররলেস প্রযুক্তির অংশ হয়, তবে সেটা একেবারেই বিস্ময়কর হবে না।
স্মার্টফোনে থাকা কমপ্যাক্ট ক্যামেরার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মিররলেস ক্যামেরাগুলোকেই সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বলে মনে করা হয়। সনি এবং ক্যাননের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও নিজেদের ব্যবসায়ীক নীতিতে পরিবর্তন এনে আগেই ডিজিটালের দিকে ঝুঁকেছে। এবার সে পথে হাঁটছে নিকনও।
প্রায় ৬০ বছর ধরে পেশাদার ফটোগ্রাফাররা নিকনের এসএলআর ক্যামেরা ব্যবহার করেছেন। তবে বর্তমানে স্মার্টফোনগুলোতে ক্রমাগতভাবে শক্তিশালী ক্যামেরা যুক্ত হতে থাকায়, দাপট হারাচ্ছে নিকন। এখন নতুন কিছু করে সেই দাপট পুনরুদ্ধার করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
২০২০ সালের জুনে ফ্ল্যাগশিপ ডিসিক্স এসএলআরের পর নতুন আর কোনো মডেল বাজারে আনেনি নিকন। কমপ্যাক্ট ডিজিটাল ক্যামেরা তৈরিও ইতোমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে তারা।
এ পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটি মিররলেস ক্যামেরার দিকে ঝুঁকলেও বিদ্যমান এসএলআর মডেলগুলোর উৎপাদন ও বিপণন চালিয়ে যাবে তারা।
ক্যাননের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এসএলআর নির্মাতা হলো নিকন। একজন ফটোগ্রাফার ভিউফাইন্ডার দিয়ে যে ছবিটি দেখেন, এসএলআর ক্যামেরায় সেটি আসলে একটি আয়নার মাধ্যমে পাওয়া ছবিটির প্রতিচ্ছবি।
১৯১৭ সালে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি নিকন নাম নেয় ১৯৪৬ সালে। ১৯৫৯ সালে প্রথম এসএলআর বাজারে ছাড়ে নিকন। পেশাদার ফটোগ্রাফার এবং সাংবাদিকদের দীর্ঘদিনের পছন্দ এ ব্র্যান্ডটি।
১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে নিকন ডিজিটাল এসএলআর তৈরি শুরু করে। গতবছর প্রতিষ্ঠানটি ৪ লাখের বেশি এসএলআর বিক্রি করেছে।
জেএন/এমআর