ব্যয় ও সময় বাড়ছে মেট্রোরেল প্রকল্পের

রাজধানী ঢাকার যানজট কমানোর লক্ষ্যে নির্মাণাধীন মেট্রোরেল প্রকল্পের (এমআরটি লাইন-৬) ব্যয় ও সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

- Advertisement -

ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট (লাইন ৬) প্রকল্পে নির্মাণকাজের জন্য বাড়তি সময় ও অর্থ চেয়ে দ্বিতীয় দফা সংশোধনীর প্রস্তাব করেছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।

- Advertisement -google news follower

প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এতে সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে।

জানা গেছে, মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে উন্নত ট্রেনে কম সময়ে পৌঁছানো যাবে নির্দিষ্ট গন্তব্যে। উত্তরা থেকে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার পথে অসহনীয় যানজট থেকে মিলবে কাঙ্ক্ষিত মুক্তি।

- Advertisement -islamibank

কিন্তু এ আশায় অধীর অপেক্ষার পালা আরও দীর্ঘ হচ্ছে। কাজ শেষ হতে আরও অন্তত দেড় বছর সময় লাগবে। একই সঙ্গে ব্যয় বাড়ছে ১১ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। অবশ্য আগামী ডিসেম্বরে দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আংশিক ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

সংশোধিত প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রকল্পের জন্য নেওয়া বিদেশি ঋণের সুদ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৫২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া পরামর্শক খাতেও ব্যয় বাড়ছে ৫৭৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

প্রকল্পের ১০টির বেশি অঙ্গে খরচ বাড়ছে। সব মিলিয়ে প্রকল্পে ব্যয় বাড়ছে ৫২ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ ছাড়া ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময়ও বাড়ছে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পের প্রথম প্রস্তাবে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে ১১ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা, অর্থাৎ ব্যয় গিয়ে ঠেকবে ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি টাকায়। একই সঙ্গে দৈর্ঘ্য বাড়বে ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার।

একনেক সভায় সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন হলে প্রকল্পের মোট সময় লাগবে ১৩ বছর। ২০১২ সাল থেকে শুরু হয়ে আগামী ২০২৪ সালের জুনে এর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

জাপান সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা জাইকা এই প্রকল্পে মূল ঋণ জোগানদাতা। ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা দিচ্ছে সংস্থাটি। বাকি ১৩ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব জোগান।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠমো বিভাগ প্রকল্পের সংশোধনীর প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করেছে। কেন প্রকল্পটি সংশোধন হচ্ছে- জানতে চাইলে এ বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশীদ গতকাল বলেন, নতুন করে বর্ধিতাংশ এবং স্টেশন নির্মাণের কারণেই মূলত ব্যয় বাড়ছে। এজন্য মতিঝিলের মতো জায়গায় ভূমি অধিগ্রহণ করতে হচ্ছে। সেখানে প্রকল্পের অন্যান্য এলাকার তুলনায় ভূমির দর অনেক বেশি।

মূল প্রকল্প নেওয়ার সময় কমলাপুর পর্যন্ত বিবেচনায় নেওয়া হলো না কেন- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সে সময়েও বিষয়টি আলোচনায় ছিল।

তবে যে কোনো কারণেই হোক কমলাপুর পর্যন্ত অংশটি হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে কমলাপুর পর্যন্ত প্রকল্প বাড়ানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত না পৌঁছলে এটি একটি অসম্পূর্ণ প্রকল্প হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল বর্ধিত করা এবং কমলাপুরে স্টেশন প্লাজা নির্মাণের জন্যই মূলত বাড়তি ব্যয় এবং সময় চাওয়া হয়েছে।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM