চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের নুরু কলোনীর একটি বাসা থেকে সামসুন্নাহার (২৫) নামে এক রোহিঙ্গা নারীর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার (১৮ জুলাই) ওই বাসার টয়লেটের টাংকি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। স্বজনদের দাবী তার স্বামী মো. বাবুল এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। অভিযোগের সূত্র ধরে বাবুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে নিহত সামসুন্নাহার ও বাবুল প্রায় ২ বছর আগে উখিয়ার জামতলা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে এসে সাতকানিয়ায় একটি ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত শুক্রবার বিকালে বাবুল এক আত্মীয়ের মোবাইলে ফোন করে জানায় তার স্ত্রী সামসুন্নাহার খুব অসুস্থ। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে এজন্য বিকাশের মাধ্যমে কিছু টাকা পাঠানোর অনুরোধ করেন।
কিন্তু তার কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে স্বজনরা সবাই সামসুন্নাহারের জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে বাবুলকে কক্সবাজারে নিয়ে গিয়ে চাপ সৃষ্টি করলে সে সামসুন্নাহারকে হত্যা করে টয়লেটের ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
গত ১৪ জুলাই হত্যাকাণ্ডটি ঘটায় বাবুল। পরে ঘটনাটি স্থানীয় পুলিশকে অবহিত করলে সাতকানিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় অব্যবহৃত একটি টয়লেটের ট্যাঙ্কের ভেতর থেকে সামসুন্নাহারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্বজনদের অভিযোগ পেয়ে নিহত সামসুন্নাহারের স্বামী বাবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানালেন সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম।
তিনি এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানায়।
জেএন/পিআর