মুজিব জন্মশত বর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলায় আরও ৫৮৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার জমির মালিকানাসহ গৃহ পেতে যাচ্ছে। জেলার ১২টি উপজেলা প্রশাসন এসব গৃহ নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব গৃহ হস্তান্তর করবেন।
আজ বুধবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। এ সময় জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিং এ জেলা প্রশাসক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল বাংলার গরিব নিরন্ন মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব শতবর্ষে ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ লক্ষ্য পূরণে কাজ শুরু করেন।
এ লক্ষ্য পূরণে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে দুই শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক জানান, সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম জেলায় ১ম পর্যায়ে ১৪৪৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ০২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে।
২য় পর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলায় ৬৪৯টি পরিবারকে ০২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলায় ৩য় পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ১২১৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ০২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে।
সর্বশেষ চট্টগ্রাম জেলায় ৩য় পর্যায়ে (২য় ধাপ) ৫৮৭ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ০২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হবে।
এরমধ্যে পটিয়া উপজেলায় ১০টি, বোয়ালখালী উপজেলায় ১৫টি, চন্দনাইশ উপজেলায় ১৫টি, সাতকানিয়া উপজেলায় ২০টি, লোহাগাড়া উপজেলায় ৫১টি, বাঁশখালী উপজেলায় ১৫টি, হাটহাজারী উপজেলায় ৬০টি, ফটিকছড়ি উপজেলায় ১০০টি, আনোয়ারা উপজেলায় ১০০টি, মীরসরাই উপজেলায় ১০৯টি, রাউজান উপজেলায় ৫৪টি এবং সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৩৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ০২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হবে।
এছাড়াও চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলাকে হালনাগাদ যাচাই-বাছাইকৃত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্ধারিত নমুনা ও ডিজাইন অনুসরণ করে উন্নতমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে এসকল টেকসই এবং মানসম্মত ঘর ভূমিহীন এবং গৃহহীনদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর এ অনন্য উদ্যোগে এখন শামিল হবার জন্য বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ এগিয়ে এসেছেন। ইতোমধ্যে বেসরকারি উদ্যোগে চট্টগ্রাম জেলায় ১২০ টি ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প খাতে অর্থ অনুদান দিচ্ছেন।
জেএন/পিআর