মাগুরাতে মাত্র সাড়ে ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে দু’জনেই আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) খন্দকার লাবণী আক্তারকে(৩৬) বুধবার (২০ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে তার নানাবাড়ি থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আর আজ বৃহস্পতিবার মাগুরা পুলিশ লাইনসে নিজ নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান (২৩)। এদিন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ লাইনসের ব্যারাকের ছাদ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, রাতের ডিউটি থেকে ফিরে আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নিজ নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। গুলির শব্দ শুনে অন্যরা ছুটে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
মাহমুদুল হাসান নামের ওই কনস্টেবলের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়। দেড় মাস আগে তিনি মাগুরায় বদলি হয়ে আসেন। এর আগে তিনি খুলনায় খন্দকার লাবণী আক্তারের দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুটি ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দু’জনের আত্মহত্যার কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত করছে।
এদিকে, দুই দিন আগে ছুটিতে মাগুরায় নানাবাড়িতে আসেন খন্দকার লাবণী আক্তার।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “মাহমুদুল খুলনায় এডিসি লাবনী আক্তারের দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।”
একই দিনে তাদের লাশ উদ্ধারের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “দুজনেই আত্মহত্যা করেছেন। এর মধ্যে কোনো যোগসূত্র আমাদের জানা নেই।”
লাবনীর শ্বশুরবাড়ি ফরিদপুর শহরে। তার স্বামী তারেক আবদুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সহকারী পরিচালক (এডি)।
তারেক চিকিৎসার জন্য ভারতে রয়েছেন বলে লাবনীর দুলাভাই হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন।
এদিকে লাবনীর বাবা শফিকুল আজমের ভাষ্য, স্বামীর সঙ্গে কলহের জেরে তার মেয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। তবে স্বামীর সঙ্গে কি নিয়ে সমস্যা ছিল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য তার কাছে মেলেনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল জানান, দুজনের লাশ ময়নাতদন্তর জন্য মাগুরা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেএন/এএম