গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে মাছ, মাংস ও মসলার বাজার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে আগামী সপ্তাহে কমে আসতে পারে সবজির দাম।
শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) নগরের কাজির দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালিন সবজির মধ্যে দেশি শিম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়, ফুলকপি কেজিতে দশ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকা, বাঁধাকপি ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বেগুন কেজি ২০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকায়, পেঁপে ৩৫ টাকায়, আলু ৩০ টাকায়, কাকরোল ৬০ টাকায়, তিতকরলা ৭০ টাকায়, টমেটো ৭০ টাকায়, বরবটি ৭০ টাকায়, লাউ ৩৫ টাকায়, পটল ৫০ টাকায়, ঢেঁড়শ ৫০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৩৫ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকায় ও ঝিঙে ৬০ টাকায় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা কাসেম উদ্দিন বলেন, বাজারে এখন শীতকালিন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। ঝড়-বৃষ্টির জন্য সবজির ক্ষেত নষ্ট হওয়াতে এ সপ্তাহে সবজির দাম বেড়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে সামনে দাম কমবে।
সবজির তুলনায় স্থিতিশীল রয়েছে মাছের দাম। কোরাল আকারভেদে ৫০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, রুই ৩০০ টাকায়, কাতলা আকারভেদে ২৫০ টাকা ৪০০ টাকা, লইট্টা ১২০ টাকায়, কই ৮০০ টাকায়, লাক্ষা ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা, রূপচাঁদা আকারভেদে ৭০০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাংসের দামে কোন পরিবর্তন হয়নি। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৫৪০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায়, খাসির মাংস ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকায়, দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকায় ও ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া খাতুনগঞ্জের মসলার বাজারের দামও স্থিতিশীল রয়েছে। আদা প্রতি কেজি ১০০ টাকায়, মসুর ডাল প্রতি কেজি (মাঝারি) ৪০ টাকায়, (ভাল মানের) ৮০ টাকায়, মুগ ডাল ৯০ টাকায়, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকায় ও চাল মানভেদে ৩৫ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জয়নিউজ/ফয়সাল/জুলফিকার