আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘বাংলায় প্রবাদ আছে—চোরের মায়ের বড় গলা। রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি হাওয়া ভবন খাওয়া ভবন বানিয়ে লুটপাট করে দেশটাকে ধ্বংস করেছিল। দেশবাসী সেটা দেখেছে।’
হানিফ আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনও ভুয়া নির্বাচন করেনি, ভুয়া নির্বাচনে বিশ্বাসও করে না। এ দেশে যতগুলো অভিযোগপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে, সে নির্বাচন তো বিএনপি করেছে।’
কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমিতে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলার সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন হানিফ।
হানিফ বলেন, ‘বিএনপির কোনো কথা বলার আগে আয়নায় চেহারা দেখে তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত। বিএনপি নিজেই একটা দুর্নীতিবাজ দল হয়ে তাদের নেতারা কি করে অন্যের দুর্নীতি খুঁজে বেড়ায়? এটা জাতির কাছে হাস্যকর মনে হয়।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপি ভুয়া নির্বাচন করেছিল বলে জনগণ তাদের টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিয়েছিল। বিএনপির এ মিথ্যাচার জনগণ বিশ্বাস করে না বলেই আওয়ামী লীগ এখনও ক্ষমতায় আছে। জনগণের সমর্থন ছাড়া কারও ক্ষমতায় টিকে থাকার সুযোগ নেই।’
নির্বাচন কমিশনের সংলাপ প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, ‘কোনো দল যদি নির্বাচন কমিশনের সংলাপে না যায়, সেটা তাদের ব্যাপার। এটা নিয়ে সংকটের কোনো কারণ নেই। যাদের নির্বাচন করার সক্ষমতা আছে, তারা অবশ্যই আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। অধিক গ্রহণযোগ্য করার জন্য, নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত করার পরামর্শ নেওয়ার জন্য কমিশন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করছে। কোনো দল সেখানে যদি না যায়, বা মতামত না দেয়, সেটা তাদের ব্যাপার। তার মানে এই নয় যে, তাদের বাদ দিয়ে নির্বাচন হবে। কেউ মতামত না দিলে নির্বাচনই হবে না—এমনটাও নয়।
হানিফ বলেন, ‘এ নিয়ে আমি কোনো সংকট দেখি না। জাতীয় নির্বাচনের এখনও দেড় বছর বাকি। এখন যেসব কথাবার্তা হচ্ছে, তা রাজনৈতিক। এটা কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আমরা চাই, সব দল নির্বাচনে আসবে। কেউ যদি নির্বাচনে আসতে না চায়, তাহলে বুঝতে হবে, তারা হয়তো নির্বাচন করার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। সেজন্য তারা ভয়ে নির্বাচনে আসতে চায় না।’
এ সময় কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার খাইরুল আলমসহ জেলা শিক্ষা অফিস ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/কেকে