খাদ্যশস্য রপ্তানি নিয়ে চুক্তিবদ্ধ হলো যুদ্ধরত রাশিয়া ও ইউক্রেন। আজ শুক্রবার তুরস্কের ঐতিহাসিক শহর ইস্তাম্বুলে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের নেতাদের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এই চুক্তিকে ‘আশার আলো’ বলে বর্ণনা করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। আর এই চুক্তির ফলে শত কোটি মানুষের প্রাণ বাঁচবে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
এই চুক্তির ফলে কৃষ্ণ সাগর তীরবর্তী বন্দরগুলো দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানি করতে পারবে ইউক্রেন। তবে, উভয় পক্ষ এই চুক্তি সম্মত হলেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত দুই দেশের নেতৃবৃন্দ একই টেবিলে বসা থেকে বিরত ছিলেন। এমনকি তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে মোলাকাতও করেননি। এ সময় চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
এই চুক্তির বিষয়ে চুক্তির মধ্যস্থতাকারী দেশ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, এই চুক্তির ফলে বিশ্বের কয়েক শ কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের হাত থেকে রক্ষা পেল। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে এই চুক্তির ফলে বিশ্বের কয়েক শ কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেল।’ এই চুক্তির ফলে বিশ্বের খাদ্য শস্যের মূল্যস্ফীতি সহনীয় হয়ে আসবে বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।
এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছি জাতিসংঘের সহায়তায়। এবং এ ক্ষেত্রে আমরা রাশিয়া এবং ইউক্রেনের প্রতিনিধিদেরও সহায়তা পেয়েছি। শিগগিরই খাদ্য রপ্তানির একটি নতুন প্রবাহ শুরু হবে এবং এটি আমাদের সবার জন্যই একটি মুক্তির বার্তা।’
এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই চুক্তির প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই চুক্তি বিশ্বকে একটি বিপদ থেকে ‘পরিত্রাণ’ দেবে। তিনি বলেন, ‘আজ কৃষ্ণ সাগরে একটি আলোকবর্তিকার সৃষ্টি হলো। যা একটি আশার আলো, একটি সম্ভাবনার আলো, একটি স্বস্তির বাতিঘর। আরও আগেই এই দিন প্রয়োজন ছিল বিশ্বের।’
জেএন/কেকে