চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রীকে নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।
শনিবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ছাত্রী নিপীড়নের ঘটনায় র্যাব পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষার্থী রয়েছেন। আমরা তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়াও অন্য কলেজের যারা জড়িত তাদের বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আজিম (২৩) ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুরুল আবছার বাবু (২২)।
এদিকে ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মো. আজিমসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় ছয়জন সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছে র্যাব। শনিবার (২৩ জুলাই) র্যাব-৭ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ।
গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আজিম (২৩), নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুরুল আবছার বাবু (২২), হাটহাজারী কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. নুর হোসেন শাওন (২২), দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা মাসুদ (২২) ও সাইফুল ইসলাম (২৩)। আর পলাতক রয়েছেন একজন। তাকে গ্রেপ্তারে র্যাব অভিযান চালাচ্ছে।
এর আগে গত রোববার (১৭ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হল সংলগ্ন এলাকায় দুর্বৃত্তদের হাতে শারীরিক হেনস্তার শিকার হন এক ছাত্রী। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা তার বন্ধুকেও মারধর করা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন। পরে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া জড়িত পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রী।
ছাত্রী হেনস্তার ঘটনার জেরে ছাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরই মাঝে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের হলে প্রবেশের ব্যাপারে সময়সীমা বেঁধে দেয়। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন করে ক্ষোভ দেখা দেয়। ছাত্রী হেনস্তা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বৃহস্পতিবার দিনভর শিক্ষক, সাধারণ শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ এবং প্রগতিশীল ছাত্রজোট মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
জেএন/কেকে