ইউরোপে চলমান তাপপ্রবাহে শুধুমাত্র পর্তুগাল ও স্পেনেই ১৭শ জনেরও বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক প্রধান হ্যান্স ক্লুগে। যাকে তিনি “অভূতপূর্ব, ভীতিকর এবং সর্বনাশা” হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইউরোপে ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক প্রধান হ্যান্স ক্লুগে বলেন, ‘পরিস্থিতি জটিল আকার ধারন করেছে, যা ব্যক্তিস্বাস্থ্য এবং মানবতার অস্তিত্ব উভয়কেই হুমকির মুখে ফেলছে।
জলবায়ুর এই পরিবর্তন কার্যকরভাবে মোকাবিলার জন্য জোরালো প্যান-ইউরোপীয় পদক্ষেপ প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, “এর জন্য, সরকারগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং প্রকৃত নেতৃত্ব প্রদর্শন করতে হবে। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিভাজন এবং ফাঁকা বুলি আওড়ানো বন্ধ করতে হবে।”
ক্লুজ উল্লেখ করেছেন যে, দক্ষিণ ইউরোপে বিপর্যয়কর প্রভাবের জন্য পরিচিত এই দাবানল এখন স্ক্যান্ডিনেভিয়া পর্যন্ত উত্তরে প্রসারিত হয়েছে, যখন এই আগুন লন্ডনে সপ্তাহে ৪১টি বাড়ি গ্রাস করেছে।
তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন নতুন নয়। এর পরিণতি হবে ঋতুর পর ঋতু, বছরের পর বছর ধরে বিপর্যয়কর ফলাফল সহ ক্রমবর্ধমান।”
ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক প্রধান ব্যাখ্যা করে বলেন, চরম তাপদাহের তীব্রতা প্রায়শই প্রাক-বিদ্যমান শারীরিক অবস্থাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
ক্লুগে বলেন, “হিটস্ট্রোক এবং হাইপারথার্মিয়ার অন্যান্য গুরুতর রূপ- যা শরীরের তাপমাত্রাকে অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেয়- যার ফলে মানুষ শারীরিক ও মানসিক কষ্ট ভোগ করে এবং অকাল মৃত্যুর শিকার হয়।
জীবনের স্পেকট্রামের উভয় প্রান্তে থাকা ব্যক্তিরা, যেমন- শিশু এবং বয়স্করা এতে বিশেষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।” সূত্র- আনাদোলু এজেন্সি।
জেএন/পিআর