মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ার আদলে নির্মাণ করা হবে ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’। ৭৫ একর জায়গা নিয়ে নির্মাণ হবে এসব অবকাঠামো। ইতোমধ্যে মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রামের নকশা চূড়ান্ত হয়েছে।
নগরে চাপ কমাতে ও সাধারণ মানুষকে এক জায়গায় সব ধরনের সেবা দিতে এ প্রকল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে গড়ে উঠবে বন্দর মৌজার হামিদ চরের ৭৫ একর জায়গায় ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’ নামের এ প্রকল্প। এখানে ৪৪টি সরকারি দফতর ছাড়াও সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, সার্কিট হাউস, সরকারি ট্রেনিং সেন্টার, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার, শপিংমল, বহুতল কার পার্কিং, সরকারি স্কুল-কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, পরিবহন পুল, পেট্রল পাম্প, স্মৃতিসৌধ, নভোথিয়েটার ও মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা থাকবে।
এতে ১৫০ বছরের প্রাচীন কোর্ট হিলের প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব রক্ষা সম্ভব হবে। পাহাড়টি ঝুঁকিমুক্ত করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
আগামী ১ মাসের মধ্যে পরিবর্ধন ও সংযোজনকৃত এ নকশা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমোদন মিললে এবং প্রয়োজনীয় কিছু কার্যক্রম শেষে শুরু হবে নির্মাণ কার্যক্রম।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আনোয়ারার যে এলাকায় কর্ণফুলী টানেল গিয়ে শেষ হয়েছে সেখান থেকে চান্দগাঁওয়ের হামিদ চর প্রকল্পে বা সমন্বিত প্রকল্পে যাবে ক্যাবল কার ও ওয়াটার বাস। আকাশ পথে ও নৌ-পথে প্রকল্প এলাকায় যাতায়াত করবে এ যানবাহনগুলো। এজন্য সেখানে নির্মাণ করা হবে একটি কমন জেটি। নকশায় করপোরেট অফিসের জন্য দুটি বা তিনটি ভবনও রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রামের প্রশাসনিক কার্যক্রমের চিত্র। সেবাপ্রার্থীরা খুব সহজে এক জায়গা থেকে নানান সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
জয়নিউজ/পিডি