একবছর আগেও জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন নুরুল হাসান সোহান। এরপর সুযোগ পেলেও একাদশে নিয়মিত জায়গা পাননি। মূলত লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম দুজনই উইকেটকিপার হওয়ায় সোহানের জায়গা হয় সাইডবেঞ্চে। জাতীয় দলে ফেরার পর পুরো একটি সিরিজ খেলার সুযোগ পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। তাও মুশফিক ছুটি নেওয়াতে। আর সুযোগটি কী দারুণভাবেই না কাজে লাগালেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। এবার টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্বও পেয়ে গেলেন।
আসন্ন জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দলকে প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব দেবেন সোহান। নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। ছুটিতে আছেন সাকিব আল হাসান এবং অবসর নিয়েছেন তামিম ইকবাল। তাই সিরিজে কোনো সিনিয়র পাচ্ছেন না সোহান। তরুণ একটি দলকে নেতৃত্ব দিতে হবে। তার আগে আজ (২৪ জুলাই) প্রথমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন নতুন অধিনায়ক।
জানালেন নিজের লক্ষ্যের কথা। একই সঙ্গে প্রথমবার জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়ে অনুভূতি কেমন, সেটাও বলেছেন। নুরুল হাসান সোহান বলেন, ‘অবশ্যই, এটা গর্বের ব্যাপার। সামনে যে চ্যালেঞ্জ আছে সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। তবে খুব বেশি এক্সাইটমেন্টের সুযোগ নেই। দল হিসেবে এবং নিজের সেরাটা দেওয়াই মূল লক্ষ্য।’
অধিনায়ক হিসেবে নিজের আলাদা কোনো লক্ষ্য আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ঘরোয়াতে যতটুকু ক্যাপ্টেন্সি করছি, আমার কাছে সবসময় একটাই চিন্তা থাকে, যেন টিম হিসেবে খেলতে পারি। জিম্বাবুয়েতেও একই লক্ষ্য থাকবে। টিমের পরিবেশটা যাতে, সবাইতো প্রতিদিন পারফরম করবে না, আমরা যারা টিম মেম্বার থাকবো ১৪-১৫ জন, একজনের সফলতা যেন আরেকজন উপভোগ করি। এই কালচার এবং টিম হিসেবে খেলাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রথমবার জাতীয় দলের নেতৃত্ব পেলেও কোনো চাপ অনুভব করছেন বলে জানিয়েছেন সোহান। তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমার লাইফে ক্রিকেট এবং সবকিছু নিয়ে এক্সাইটমেন্ট ও চাপ কম। কঠোর পরিশ্রম করবো এবং প্রসেসটা ফলো করবো। ফল বা অতীত বা ভবিষ্যৎ নিয়ে অত চিন্তা করি না। চাপ নেওয়া থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি এবং সাম্প্রতিক সময়ে সেটা করতে পারছি বলেই মনে হয়। তাই এই ব্যাপারগুলো অতটা প্রভাব ফেলবে না।’
‘ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই চেষ্টা থাকবে এটা যেন করতে পারি। হয়তো আগে থেকে ফল নিয়ে চিন্তা করলে অনেক সময় প্রসেসটা ঠিক থাকে না। প্রসেসটা গুরুত্বপূর্ণ, ফল নিয়ে অত বেশি চিন্তা করছি না। আমার কাছে মনে হয়, ভয়ডরহীন থাকলে পজিটিভ কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে,’ যোগ করেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
জেএন/কেকে