প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টের বেলাভূমিতে সম্প্রীতির এক অনন্য মিলনমেলা বসেছে। দেশের বৃহত্তম এ বিসর্জন অনুষ্ঠানে সামিল হয় সব ধর্মের লাখো মানুষ। সনাতন ধর্মের পুণ্যার্থী ছাড়াও মিলনমেলায় ছিল দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক।
শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে দেবী দুর্গাকে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে বিদায় জানায় সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষ।
সনাতনীদের মতে, এবার দেবীর আগমন কিংবা প্রস্থানে তেমন কোনো শুভ বার্তা বয়ে আনেনি। কারণ এবার মর্তে্য দেবীর আগমন ঘোড়ায় চড়ে। এমন আগমনের ফল- পৃথিবীতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, রোগ, শোক ও হানাহানি। আবার দেবী ফিরে গেছে দোলায় চড়ে। দোলায় চেপে দেবীর বিদায়ের অর্থ হলো মড়ক।
এদিকে বিসর্জন উপলক্ষে সৈকতের খোলা মঞ্চে আয়োজন করা হয় সম্প্রীতি সমাবেশে। কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেলের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ সভাপতি অ্যাডভোকেট রণজিত দাশ ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা। সমাবেশ শেষে শুরু হয় প্রতিমা বির্সজন।
একই সময় টেকনাফের নাফ নদী, রামুর বাঁকখালী নদী ও চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীতে প্রতিমা বিসর্জন হয়।
জয়নিউজ/শহীদ