দেশের ব্যাংকখাতে সাংঘাতিক অপরাধ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। ইসলামী ব্যাংকের চাপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের চার ব্যাংক কর্মকর্তার আগাম জামিন আবেদনের শুনানিতে উচ্চ আদালত এমন মন্তব্য করেন।
পরে তাদের চার সপ্তাহের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) চার ব্যাংক কর্মকর্তার আগাম জামিন আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শুনানির একপর্যায়ে আদালত বলেন, সবচেয়ে সাংঘাতিক ক্রাইম হচ্ছে ব্যাংকে। ব্যাংকখাতে বড় বড় অপরাধ হচ্ছে। দেশটাকে পঙ্গু করে দিচ্ছে। এভাবে চললে দেশ এগোবে কীভাবে?
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফৌজিয়া আক্তার পপি। আর ব্যাংক কর্মকর্তাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. মাহবুব মর্শেদ।
আসামিদের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেন, আপনাদের ভেতরে (জেলে) পাঠাতাম, তবে টাকার পরিমাণ কম হওয়ায় আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
দুদকের রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে গত ২০ মার্চ মামলাটি করেন কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরী।
ইসলামী ব্যাংকের শিবগঞ্জ শাখা থেকে পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া ঋণ হিসাব খুলে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ ধারায় মামলাটি করা হয়।
আসামিরা হলেন- ব্যাংকটির শিবগঞ্জ শাখার বরখাস্ত এসবিআইএসও মো. ফয়েজুর রহমান, প্রাক্তন বিনিয়োগ ইনচার্জ মো. আবু বকর, ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. মনিরুজ্জামান খান, ব্রাঞ্চের প্রধান মো. আফজাল হোসেন ও ব্যাংকটির কনিষ্ঠ কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম।
জেএন/কেকে