জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০১১ সালের আদমশুমারির তুলনায় সাক্ষরতার হারে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে দেশে সাক্ষরতার হার ছিল ৫১.৭৭ শতাংশ।
২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী সারা দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬। সাক্ষরতার হারে বর্তমানে নারীদের চেয়ে এগিয়ে আছে পুরুষরা।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বিবিএসের মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯ জন।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭৬.৫৬ শতাংশ এবং নারীদের সাক্ষরতার হার ৭২.৮২ শতাংশ।
এই হার ২০১১ সালের আদমশুমারিতে ছিল ৫১.৭৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের সাক্ষরতার হার ছিল ৫৪.১১ শতাংশ এবং নারীদের সাক্ষরতার হার ছিল ৪৯.৪৪ শতাংশ।
২০১১ সালের আদমশুমারিতে হিজড়াদের স্বাক্ষরতার কোনো হিসাব না থাকলেও এবারের জনশুমারিতে হিজড়া জনগোষ্ঠীদের সাক্ষরতার হার ৫৩.৬৫ শতাংশ।
২০১১ সালের আদমশুমারিতেও পল্লি এলাকার চেয়ে শহর এলাকায় সাক্ষরতার হার বেশি ছিল। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে পল্লি এলাকার মোট সাক্ষরতার হার ছিল ৪৭.১৬। এর মধ্যে পুরুষের সাক্ষরতার হার ছিল ৪৯.০১ শতাংশ আর নারীদের সাক্ষরতার হার ৪৫.৩৮ শতাংশ।
জেএন/পিআর