রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের কিছুক্ষণ পরেই নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, আজ (২৮ জুলাই) থেকেই পার্থকে শিল্প দফতর, পরিষদীয় দফতর এবং তথ্যপ্রযুক্তি দফতর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সেই বিজ্ঞপ্তি জারির কিছুক্ষণ পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘পার্থদার কাছে যা যা দফতর ছিল, সেগুলো আমার কাছে আসছে। এখন হয়ত আমি কিছু করব না।
কিন্তু নতুন মন্ত্রিসভা তো গঠন করা হয়নি।’ তবে মমতা ‘বরখাস্ত’ এবং ‘অপসারিত’-র মতো শব্দ ব্যবহার করেননি। বরং ‘অব্যাহতি’ ব্যবহার করেছেন মমতা।
বিকেল ৩টায় তৃণমূল কংগ্রেসের কলকাতার সদর দফতরে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খোদ দলীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন দলটির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়াও বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
পার্থের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তৃণমূল দলের ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে। তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন ওঠে তার সততা নিয়েও।
পার্থ মুখোপাধ্যায় গ্রেফতারের সময় অ্যারেস্ট মেমোতে তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর নাম এবং ফোন নম্বর উল্লেখ করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এতে চরম অস্বস্তিতে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত শনিবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে। তাকে গ্রেফতারের কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রেফতার হন তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
ছয় দিন ইডি হেফাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তার বান্ধবী অর্পিতা। অসুস্থতার কারণে চার দিন জেরা করতে পারেননি গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার থেকেই জেরা শুরু করেন ইডি গোয়েন্দারা।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলীয় সব পথ থেকে বহিষ্কার শুধু নয়, ন্যূনতম সদস্যপদ থেকেও বহিষ্কার হতে পারেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
জেএন/পিআর