দেশে গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও উত্তোলনের জন্য ২০০৯ সালে গঠন করা হয় গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ)। এই তহবিলের অর্থ সংস্থানের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতি ঘনমিটারে ৪৬ পয়সা করে কেটে রাখা হচ্ছে।
এদিকে গত ৬ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব কাজী লুতফুল হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দেখা যায়, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির লক্ষ্যে সাময়িকভাবে ঋণ হিসেবে দুই হাজার কোটি টাকা পেট্রোবাংলাকে দিয়েছে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল।
বিষয়টি জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বলেন, ‘স্পট মার্কেট (খোলাবাজার) থেকে উচ্চমূল্যে এলএনজি কিনতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়েছে। সেই ঋণ পরিশোধ করতেই এই টাকা নেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে অস্থিতিশীল এলএনজির আন্তর্জাতিক বাজার। অন্যদিকে চাহিদার বিপরীতে বাজেট থেকে ভর্তুকি হিসেবে পেট্রোবাংলা অর্থ বরাদ্দ পাচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। গ্যাসের সরবরাহ ঠিক রাখতে স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্যে এলএনজি আমদানি করে পেট্রোবাংলা। এ জন্য প্রতিনিয়ত অর্থ বিভাগের দ্বারস্থ হতে হয় সংস্থাটিকে। ফলে এর আগেও গত ৮ মে এলএনজি আমদানির জন্য পেট্রোবাংলাকে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল থেকে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেয় অর্থ বিভাগ।
জয়নিউজ/পিডি