চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার উত্তর সারোয়াতলীতে কুকুরের অত্যাচারে অতিষ্ট গ্রামবাসী। প্রতিদিন কারো না কারো হাঁস-মুরগি খেয়ে ফেলছে কুকুরের দল।
গ্রামে কুকুরের উৎপাত বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসী। দ্রুত কুকুরের অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ চান এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা মো.বাবর জানান, উত্তর সারোয়াতলী গ্রামে দল বেঁধে অচেনা কুকুরের দল ঘুরে বেড়ায়। খুবই হিংস্র প্রকৃতির কুকুরের দলটি প্রতিদিন সকালে ঘরে পালিত হাঁস-মুরগি খেয়ে ফেলছে।
গত বুধবার তাদের ১টি হাঁস ও ২টি মুরগি খেয়ে ফেলেছে কুকুরে। আজ শুক্রবার (২৯ জুলাই) সাবেক ইউপি সদস্য মো. জসিমের ১টি মুরগি ও মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজা মিয়ার বাড়ির ১টি মোরগ এবং ১টি মুরগি খেয়ে ফেলেছে। এর আগে রানু আকতারের ১টি মুরগি খেয়ে ফেলেছে কুকুরের দল।
দলটিতে প্রায় ১০-১৫টি কুকুর রয়েছে জানিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য মো. জসিম বলেন, ‘কুকুরের দলটি এলাকাবাসী ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দিলেও বারবার ফিরে আসছে। কিছুতেই নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না।
সকাল হলেই কারো না কারো হাঁস মুরগির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কুকুরের দলটি। এতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’ কুকুরের অত্যাচার বন্ধ না হলে এলাকায় কেউ আর হাঁস-মুরগি পালন করবে না বলে জানান তিনি।
মো. শাহীনুর কিবরিয়া মাসুদ বলেন, ঘরের ৪টি ডিম পাড়া দেশি মুরগি কুকুরের দল খেয়ে ফেলেছে। এতে মন ভেঙে গেছে। তাই নতুন করে আর মুরগি পালন করছি না।
সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন বলেন, বেওয়ারিশ কুকুরের অত্যাচার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে গৃহপালিত পশু-পাখি পালন করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করা হচ্ছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুল আলম বলেন, এ বিষয়ে মাসিক আইন শৃঙ্খলার সভায় তুলবো। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য বলা হয়েছে।
জেএন/পিআর