কমনওয়েলথে টেবিল টেনিসে একের পর এক ইতিহাস সৃষ্টি করে চলছে বাংলাদেশ। বাছাই পর্বে ভালো পারফরম করে যোগ্যতার ভিত্তিতে কমনওয়েলথে নাম লিখিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার কমনওয়েলথের মূল আসরে বাংলাদেশ দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে।
ছেলেদের দলগত প্রতিযোগিতায় শেষ আট নিশ্চিত করেছে হৃদয়, রামহিমরা। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল গায়ানা। দলগত ইভেন্টে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়েছে। বাংলাদেশ ৩-২ ব্যাবধানে হারিয়েছে গায়ানাকে। প্রথম ম্যাচে ডাবলসে হৃদয় ও রামহিম জুটি হারিয়েছেন ফ্রাঙ্কলিন ও ভ্যান লাঙে জুটিকে। তারা ৩-২ ব্যাবধানে ম্যাচ জিতেন।
এরপর সিঙ্গেলসে সাব্বির ৩-১ ব্যাবধানে হেরে যান ব্রিটনের কাছে। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে হৃদয় ৩-১ ব্যাবধানে ভ্যান লাঙেকে হারিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন। রামহিমকে চতুর্থ ম্যাচে ৩-০ তে হারিয়ে খেলা জমিয়ে তুলে গায়ানা। ম্যাচ নির্ধারণী সেটে সাব্বিরের প্রতিপক্ষ ছিলেন ফ্রাঙ্কলিন। দারুন উত্তেজনা ছড়ায় সেই ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত সাব্বির ৩-২ ব্যাবধানে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশকে নিয়ে যান কোয়ার্টার ফাইনালে।
কমনওয়েলথ গেমসে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস দল। যোগ্যতা অর্জন করে প্রথম বারের মতো কমনওয়েলথ গেমসে খেলতে এসে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সবগুলো ম্যাচ দেখেছেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশের এই সাফল্যে তাৎক্ষণিক পুরস্কারের ঘোষণা দেন তিনি। প্রত্যেক খেলোয়াড়কে পঞ্চাশ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়ার কথা জানান তিনি।
বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খোন্দকার হাসান মুনীর ভালো মানের একজন বিদেশি কোচের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন সভাপতির কাছে। কোচের জন্য প্রতি মাসে সাড়ে তিন হাজার ডলার বেতনের কথা বলেন খোন্দকার হাসান মুনীর। এর প্রেক্ষিতে সেনাপ্রধান ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কোচের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের আশ্বাস দেন।
এছাড়া বাংলাদেশ দলের এই সাফল্যে ভিডিও কলের মাধ্যমে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। দলের সদস্যদের জন্য বড় অংকের পুরস্কার দেয়ার কথাও জানান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
জেএন/কেকে