মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১১ তরুণের নামাজে জানাজা শেষে নিজ নিজ এলাকায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (৩০ জুলাই) সকালে সাড়ে ১০টায় হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার এলাকার খন্দকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ জনের জানাযা সম্প্ন্ন হয়। নিজ নিজ এলাকায় পৃথকভাবে আরো চার জন এবং গতকাল শুক্রবার রাতে দুজনের জানাযা সম্প্ন্ন হয়েছে।
জানাযা শেষে নিহত ১১ তরুণ শিক্ষার্থীতে তাদের নিজ নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এসময় নিহতদের স্বজন ও প্রত্যেকের এলাকার জনপ্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ জানাযায় অংশ নেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে রেলওয়ে থানা প্রাঙ্গণ থেকে মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, স্বজনদের আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়। মিরসরাইয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়।
এ সময় জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান এ বি এম রাশেদ, রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, মাইক্রোচালক উপজেলার আজিম সাবরেজিস্ট্রার বাড়ির হাজী মো. ইউসুফের ছেলে গোলাম মোস্তফা নিরু (২৬),
চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবু মুসা খানের বাড়ির মোতাহের হোসেনের ছেলে মোস্তফা মাসুদ রাকিব (১৯), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইলিয়াছ ভুট্টোর ছেলে মোহাম্মদ হাসান (১৭), একই ওয়ার্ডে খোন্দকার পাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে জিয়াউল হক সজীব (২২), মোজাফফর আহমেদের ছেলে মোসহাব আহমেদ হিশাম (১৬), ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজ মেম্বার বাড়ির জানে আলমের ছেলে ওয়াহিদুল আলম জিসান (২৩), একই বাড়ির পারভেজের ছেলে সাগর (১৭) ও একই এলাকার আবদুল ওয়াদুদ মাস্টার বাড়ির আবদুল মাবুদের ছেলে ইকবাল হোসেন মারুফ (১৭) ও মজিদ আব্বাস চৌধুরী বাড়ির বাদশা চৌধুরীর ছেলে শিক্ষক রিদুয়ান চৌধুরী (২২), আব্দুল আজিজ বাড়ির মৃত পারভেজের ছেলে তাসমির হাসান (১৭), মনসুর আলমের ছেলে মো. মাহিম (১৭)।
জানাজা সমবেত সাধারণ মানুষও একসাথে এতে লাশ দেখে চোখের পাণি ধরে রাখতে পারেনি। প্রায় সকলের মুখেই যেন একই আর্তনাদ এলাকার মেধাবী এতগুলো ছেলের একসঙ্গে চলে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। এই শূন্যতা কীভাবে পূরণ হবে, বুঝতে পারছি না।
জেএন/পিআর