প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস সলিমপুরে ভূমিদস্যু সৃষ্ট সকল প্রতিবন্ধকতা প্রতিহত করার জন্য প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন।
আজ চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে জঙ্গল সলিমপুর নিয়ে মহাপরিকল্পনা ও সেখানে বসবাসরত ভূমিদস্যুদের হাত থেকে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভায় বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বিপিএম (বার) পিপিএম (বার), সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক, সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দীনসহ সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় বলা হয়, নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ জঙ্গল সলিমপুরকে কেন্দ্র করে একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে বনভূমি ধ্বংস করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি খাস জমি অর্থের বিনিময় দখল বিক্রি করে আসছে। যেখানে পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে প্রতিনিয়ত পাহাড়ধসের আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করে আসছে হাজারো পরিবার। এছাড়াও জঙ্গল সলিমপুর এখন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। সন্ত্রাসীরা অভিনব কায়দায় বনভূমি ধ্বংস ও খাস জমি বিক্রয় করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করেন।
এসময় জঙ্গল সলিমপুর মহাপরিকল্পনায় প্রস্তাবিত বিভিন্ন প্রকল্প সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়। প্রকল্পসমূহের মধ্যে রয়েছে স্পোর্টস ভিলেজ, হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, সাফারি পার্ক, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বেতার সম্প্রচার কেন্দ্র, পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কাস্টমস ডাম্পিং হাউজ, সবুজ শিল্প এলাকা, চট্টগ্রাম সেনানিবাস ও বিএমএ এবং আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন।
সভাশেষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বলেন, জঙ্গল সলিমপুরে যেন নতুন করে পাহাড় কাটা ও অবৈধ ভূমি দখল না হয় সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও জঙ্গল সলিমপুরে সরকারের গৃহীত মহাপরিকল্পনার বিষয়ে আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে একটি মাস্টার প্ল্যান দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এসময় জেলা প্রশাসক পাহাড়ের পরিবেশ ও প্রতিবেশ অক্ষুণ্ণ রেখে চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি সুন্দর মহাপরিকল্পনা বাস্থবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জেএন/কেকে