রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। টিপু হত্যার প্রধান সমন্বয়কারী সুমন শিকদার ওরফে মুসার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মতিঝিল বিভাগের গোয়েন্দা পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জোবায়ের আলম খান রবিন, আরিফুর রহমান সোহেল, খায়রুল ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান টিটু।
গত ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুর মানামা ভবনের সামনে পৌঁছামাত্র টিপুর ওপর হামলা করেন দুর্বৃত্তরা। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালান। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে টিপু ও রিকশা আরোহী সামিয়া আফরিন প্রীতি নামে এক কলেজছাত্রী নিহত হন। আর গুলিতে আহত হন টিপুর গাড়িচালক মনির হোসেন মুন্না (৩২)। পরে ২৫ মার্চ সকালে নিহতের স্ত্রী কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে মামলা করেন।
টিপু মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যও ছিলেন। টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর।
এরপর ২৭ মার্চ বগুড়া থেকে গ্রেফতার শুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশের স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দিতে মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী হিসেবে মুসার নাম আসে। পরে জানা যায়, মুসা ঘটনার আগেই ১২ মার্চ দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত চলে যান। তার সন্ধান পেতে গত ৬ এপ্রিল পুলিশ সদর দফতরের এনসিবি শাখায় যোগাযোগ করে ডিবি পুলিশ।
পুলিশ সদর দফতর ৮ এপ্রিল মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইন্টারপোলের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করে। এর মধ্যে ৮ মে জানা যায়, মুসা দুবাই থেকে ওমানে প্রবেশ করেছেন। ইন্টারপোলের ওমান পুলিশ এনসিবির সহযোগিতায় গত ১২ মে মুসাকে গ্রেফতার করে। বাংলাদেশ পুলিশের একটি টিম ওমানে গিয়ে ৯ জুন মুসাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
জেএন/কেকে