প্রথম ম্যাচে ১৭ রানে হার। জিম্বাবুয়ের কাছে এই পরাজয়ের পর অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান এবং টিম ম্যানেজমেন্টকে। সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে, একাদশ বাছাই করা নিয়ে।
টানা দ্বিতীয় দিনে দ্বিতীয় ম্যাচ। এবার দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামলো নুরুল হাসান সোহানের বাংলাদেশ দল। যথারীতি ৩ পেসার। তাসকিন আহমেদকে বাদ দিয়ে নামানো হলো হাসান মাহমুদকে। নাসুম আহমেদকে বাদ দিয়ে নেয়া হলো স্পিনার শেখ মাহদি হাসানকে।
দ্বিতীয় ম্যাচেও টস হার এবং প্রথমে ফিল্ডিং। তবে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান এবার আর পেসার দিয়ে আক্রমণ শুরু করলেন না। নিয়ে আসলেন স্পিনার। তাও নিয়মিত স্পিনার মাহদি হাসানকে নয়, মোসাদ্দেকের হাতে তুলে দিলেন বল।
বল হাতে নিয়েই জিম্বাবুইয়ানদের ওপর চড়াও হলেন মোসাদ্দেক। তার করা প্রথম ওভারেই দুই ব্যাটারকে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার রেগিস চাকাভাকে নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন মোসাদ্দেক।
ওভারের শেষ বলে কভার পয়েন্টে মাহদি হাসানের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন ওয়েসলি মাধভিরেকে। প্রথম ম্যাচে এই মাধভিরেই ৬৭ রান করে বাংলাদেশের পরাজয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। ৫ রানের মাথায় পড়ে দ্বিতীয় উইকেট।
মোসাদ্দেকের ঘূর্ণিজাল থেকে মুক্তি মিলছে না জিম্বাবুয়ের। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে আবারও আঘাত হানলেন তিনি জিম্বাবুয়ের ওপর। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে মোসাদ্দেকের বলে উইকেট হারালেন জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ওপেনার এবং অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে। রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে প্রথম স্লিপে লিটনের হাতে ক্যাচ দেন আরভিন। ৬ রানে বিদায় নিল তিনজন ব্যাটার।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে শন উইলিয়ামসকে রিটার্ন ক্যাচে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন মোসাদ্দেক। ৭ বলে ৮ রান করে আউট হলেন উইলিয়াম।
এরপর সপ্তম ওভারে বল করতে এসে আবারও উইকেট নিলেন তিনি। এবার প্যাভিলিয়নের পথ ধরালেন মিল্টন সুম্বাকে। ওভারের ৫ম বলে সুইপ শট খেলতে গেলেন সুম্বা। কিন্তু ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরলেন হাসান মাহমুদ। সে সঙ্গে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট শিকারী হয়ে গেলেন মোসাদ্দেক।
জেএন/কেকে