চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনের চালক আবু তাহের, গার্ড এমদাদুল হক, এবং এএলএম পুণ্য জৌতি চাকমাকে প্রায় এক ঘন্টা পর জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
এর আগে সোমবার (১ আগস্ট) সকালে সদ্য ঘোষিত কমিটিতে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেনের চালকসহ ৩ জনকে ‘অপহরণ’ করায় বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে রানিং স্টাফ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নেতা মো. মুজিবুর রহমান বলেন, শাটল ট্রেনের চালকসহ ৩ জনকে ট্রেন থেকে নামিয়ে ‘অপহরণ’ করা হয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
মুজিবুর রহমান জানান, সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম পুরাতন রেল স্টেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখে ছেড়ে যাওয়া ১৩১ নম্বর শাটল ট্রেন ঝাউতলা এলাকায় পৌঁছালে ট্রেনের চালক আবু তাহের, গার্ড এমদাদুল হক, এবং এএলএম পুণ্য জৌতি চাকমাকে ‘অপহরণ’ করা হয়। তবে এক ঘন্টার মধ্যে তাদেরকে ছেড়ে দেয় অজ্ঞাত দুবৃত্তরা।
তথ্যটি নিশ্চিত করে রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পদবঞ্চিত ছাতনেতারা অপহরণের মতো ন্যাক্কারজনক কাজটি ঘটিয়েছে।
তবে এর ঘন্টাখানেক পরেই তাদের তিনজনকে ছেড়ে দেয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে তিনি জানান।
এর আগে চবি ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবাণিজ্য ও অছাত্রদের রাখার অভিযোগে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে বন্ধ থাকে শাটল ট্রেন চলাচল।
রবিবার রাত ১২টায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা রাত ২টা থেকে ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। পদবঞ্চিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের এই দাবি আদায় না হবে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের এই অবরোধ চলবে।
জেএন/পিআর