পরিচ্ছন্ন কর্মী থেকে ব্যাংকের এজিএম

প্রতীক্ষার মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিয়ে হয়। স্বামী সদাশিব কুডু স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ছিলেন। বিয়ের চার বছর পর একটি দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। এরপর ওই ব্যাংকে পরিচ্ছন্ন কর্মীর চাকরি পান প্রতীক্ষা।

- Advertisement -

চাকরি তার খুবই দরকার ছিল। কারণ এক ছেলে সন্তানের মা তিনি। স্বামীর ব্যাংক কর্মীরা সাহায্য করতেন প্রতীক্ষাকে। যার কারণে দুই বেলা পরিচ্ছন্ন কর্মীর কাজ করতেন। আর বাকি সময় ছেলেকে কোলে নিয়ে দশম শ্রেণির পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা।

- Advertisement -google news follower

পরিস্থিতি এতটা কঠিন ছিল যে বই কেনার টাকা ছিল না প্রতীক্ষার। আত্মীয়দের থেকে বই সংগ্রহ করতেন। শেষ পর্যন্ত ৬০ শতাংশ নম্বর নিয়ে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাস করেন। এরপর নাইট কলেজে ভর্তি হন। এসময় টাকা বাঁচানোর জন্য এক স্টপ আগেই বাস থেকে নেমে পড়তেন।

ক্লাস টুয়েলভ পাস করার পর পরিচ্ছন্ন কর্মী থেকে ক্লার্কের পদ পান প্রতীক্ষা। অর্থকষ্ট কিছুটা দূর হয়। কিন্তু নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ তখনও অব্যাহত রাখেন।

- Advertisement -islamibank

১৯৯৫ সালে মুম্বাইয়ের ভিখরোলি কলেজ থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক পাস করেন প্রতীক্ষা। এর মধ্যে ১৯৯৩ সালে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। ব্যাংককর্মী প্রমোদ টন্ডওয়ালকারের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তিনি।

প্রতীক্ষা জানিয়েছেন, প্রমোদের উৎসাহেই এত উপরে উঠে আসা। আজ মুম্বাইয়ে স্টেট ব্যাংকের একটি ব্রাঞ্চের এজিএম। ২০২০ সালের জুন মাসে এই পদে পান তিনি। প্রতীক্ষা ও প্রমোদের দুই সন্তান রয়েছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে তিন সন্তানের মা প্রতীক্ষা।

জীবনের গল্প জানাতে গিয়ে প্রতীক্ষা বলেন, ‘যখন ফিরে তাকাই, মনে হয় অসম্ভব। কিন্তু আমি এটা পেরেছি ভেবে আনন্দ হয়।’

জেএন/কেকে

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM