হারারেতে জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হারের তিক্ততা বরণ করতে হল বাংলাদেশ দলকে। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ ছিল সিরিজ নির্ধারণী মঞ্চ। সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে ১০ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে ক্রেইগ আরভিনের দল। টি-টোয়েন্টিতে এবারই প্রথম বাংলাদেশকে সিরিজ হারাল জিম্বাবুইয়ানরা।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। ৬৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেললেও রায়ান বার্ল ও লুক জংওয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান জড়ো করে স্বাগতিক দল।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন বার্ল। ২৮ বলের মোকাবেলায় ২টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকান তিনি। পঞ্চদশ ওভারে নাসুম আহমেদের ৬ বলে ৫টি ছক্কা ও ১টি চার হাঁকান। এছাড়া ২০ বলে ৩৫ রান করেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের দেখা পাওয়া জংওয়ে। বাংলাদেশের পক্ষে হাসান মাহমুদ ও মেহেদী হাসান দুটি করে এবং মুস্তাফিজুর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাসুম আহমেদ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই লিটন দাসকে হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ, ৬ বলে ১৩ রান করে যিনি দিচ্ছিলেন ভালো শুরুর ইঙ্গিত। অভিষিক্ত পারভেজ হোসেন ইমন ৬ বলে মাত্র ২ রান করে লিটনের পথ ধরেন। এরপর এনামুল হক বিজয়ের ১৩ বলে ১৪, নাজমুল হোসেন শান্তর ২০ বলে ১৬ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ২৭ বলে গড়া ২৭ রানের ইনিংসে চাপ বাড়তে থাকে টাইগারদের। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত গোল্ডেন ডাকের শিকার হন।
এরপর দায়িত্ব বর্তায় আফিফ হোসেন ধ্রুব ও শেখ মেহেদী হাসানের কাঁধে। তবে আশা জাগিয়েও জয় এনে দিতে পারেননি তারা। ১৭ বলে ২২ রান করে মেহেদী বিদায় নেন ১৯তম ওভারে। ২৭ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত আফিফ তিনটি চার হাঁকিয়েও জেতাতে পারেননি দলকে।
শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৬ রান। এতে ১০ রানের জয় তুলে নিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে জিম্বাবুয়ে।
জেএন/কেকে