সাফ অ-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে টানা তিন ম্যাচ জিতে বাংলাদেশের ফাইনাল প্রায় নিশ্চিত ছিল। এতটা সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ যে আজ চার গোলের ব্যবধানে হারলেও ফাইনাল খেলতেন মিরাজ-নোভারা। ভারতের ভুবেনশ্বের কালিঙ্গ স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ড্র ১-১ করে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। ৫ আগস্ট এই ভেন্যুতে শিরোপার জন্য খেলবে বাংলাদেশ।
চার ম্যাচে দশ পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত থেকে এবং পাঁচ দলের মধ্যে প্রথম হয়েই ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত মালদ্বীপকে হারালে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে উঠবে। ভারত ও মালদ্বীপের ম্যাচটি ড্র হলে নেপাল ও ভারতের সমান ৭ পয়েন্ট হবে। সেক্ষেত্রে ভারত নেপালকে ৮-০ গোলে হারানোয় হেড টু হেডে এগিয়ে থেকে ফাইনাল খেলবে স্বাগতিকরা।
নেপালের জন্য ম্যাচটি ছিল বড় ব্যবধানে জেতার। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের জালে বল পাঠাতে পারেনি হিমালয়ের দলটি। বাংলাদেশও গোল করতে পারেনি প্রথম ৪৫ মিনিটে।
এতক্ষণ পর্যন্ত নিরুত্তাপ ম্যাচটা উত্তপ্ত হয়ে পড়ে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। একটি ফাউল নিয়ে দুই দলের খেলোয়াড়রা মারামারিতে লিপ্ত হন। কয়েক মিনিটের জন্য ফুটবল স্টেডিয়াম রুপ নেয় যেন কুস্তি স্টেডিয়ামে।
জটলার মধ্যে দুই দলের ফুটবলাররা হাতাহাতিতে জড়ান। একে অন্যকে লাথিও দিয়েছেন। ডাগ আউট থেকে রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলাররাও এতে লিপ্ত হন। পরিস্থিতি ঠান্ডা হওয়ার পর বাংলাদেশের শহিদুলকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়া করেন রেফারি। সঙ্গে নেপালের এক ফুটবলারকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান।
দুই দল দশ জনে পরিণত হওয়ার পর ম্যাচে দু’টি গোল হয়। ৬২ মিনিটে পিয়াস আহমেদ নোভা বক্সের মধ্যে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে গোল করেন। মিনিট ছয়েক পর নেপালের বদলি ফুটবলার মাল্লা বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করলে ম্যাচে সমতা আসে।
ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হওয়ায় বাংলাদেশ অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠে আর নেপাল টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে আগামীকাল দেশে ফিরে যাবে।
জেএন/কেকে