হজের পর শুরু হয়েছে ওমরাহ মৌসুম। সে কারণে দুই বছর আগে দেয়া কাবাঘরের চারপাশের বেষ্টনী তুলে নেয়া হয়েছে। করোনার প্রকোপ শুরু হলে ২০২০ সালের জুলাইয়ে এই বেষ্টনী দেয়া হয়।
মঙ্গলবার সৌদি বাদশাহ সালমানের নির্দেশক্রমে সুরক্ষা বেষ্টনী তুলে নেয়ার কথা জানান পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল সুদাইস। এর ফলে এখন পবিত্র কাবাঘরের কাছে গিয়ে সরাসারি তা স্পর্শ করতে পারছেন মুসল্লিরা।
২০২০ সালের জুলাইয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ও মুসল্লিদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এই বেষ্টনী দেয়া হয়েছিল। এ সময় কাবাঘরে স্থাপিত হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর স্পর্শ বা চুম্বন করতে পারেননি মুসল্লিরা।
আবদুর রহমান আল সুদাইস জানান, ওমরাহ মৌসুম শুরু হওয়ার পর পবিত্র কাবাঘরের বেষ্টনী তুলে নেয়া হয়েছে। পবিত্র মসজিদুল হারামে আগত মুসল্লি ও দর্শনার্থীদের সুরক্ষা ও সেবা নিশ্চিত করতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। মুসল্লিদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে সব সেক্টরের সমন্বয়ে জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগ কাজ করছে বলে জানান তিনি।
করোনা মহামারীর কারণে এ বছর হজ পালন করেন ১০ লাখ মুসল্লি। ২০২১ সালে হজ পালন করেন ৫৮ হাজার ৭৪৫ জন। ২০২০ সালে কঠোর বিধি-নিষেধ মেনে ১০ হাজার লোক হজ পালন করেন। মহামারীর আগে ২০ লাখের বেশি লোক হজ পালন করতেন।
২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের পর প্রথমবারের মতো সতর্কতামূলক কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করে সৌদি আরব। তখন ওমরাহ পালনসহ দৈনিক নামাজ আদায়ে সাময়িক সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়। পরবর্তীকালে ধাপে ধাপে সীমিত পরিসরে ওমরাহ ও হজ কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা হয়।
জেএন/কেকে