বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করা হচ্ছে চাল। তারপরও আমদানিতে খরচ বাড়ায় দেশি চালের তুলনায় আমদানিকৃত চালের মূল্য কেজিতে ১-৩ টাকা বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে সরু চালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২ টাকা। দফায় দফায় চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
জানা গেছে, গত ইরি-বোরো মৌসুমে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে উৎপাদন ব্যাহত হয়। ধানের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়তে থাকে চালের দামও। সংকট মোকাবিলা ও চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আমদানিকৃত চাল বাজারে আসলে প্রভাব পড়ে চালের বাজারে। এতে দেশি চালের দাম কিছুটা কমে যায়। কিন্তু এবার তার উল্টো প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজার বিশেষ করে ভারতের বাজারে চালের দাম বাড়ছে। ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানিতেও বাড়ছে খরচ। এতে দেশি চালের তুলনায় আমদানিকৃত চালের দাম বৃদ্ধির সম্ভবনা রয়েছে।
এখন মিনিকেট বা জিরাশাইল প্রতিকেজি চালের পাইকারি মূল্য ৬৩-৬৪ টাকা, নাজিরশাইল ৭০-৭১ টাকা, স্বর্ণা-৫ ৪৭-৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
নওগাঁ ধান-চাউল আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা চন্দন বলেন, আমদানি খুলে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ভারত থেকে আমদানিকৃত চাল প্রবেশ করা শুরু করেছে। কিন্তু চালের বাজারে এর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। ইতোপূর্বে আমরা দেখেছি আমদানিকৃত চাল বাজারে এলে দাম কমে। কিন্তু এবার তার উল্টো।
এর মূল কারণ হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজার বিশেষ করে ভারতের বাজারে চালের দাম বেড়েছে। শুল্ক দিতে হচ্ছে সাড়ে ২৭ শতাংশ। এতে করে চালের দাম স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যাচ্ছে। দেশীয় চালের তুলনায় আমদানি করা চালের মূল্য ১-৩ টাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কায় আমদানিকারকরা বাজারে চাল বিক্রি করতে পারছেন না। এ কারণে আমদানি করা চাল বাজারে কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না।
জয়নিউজ/পিডি