বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ (১-৭ আগস্ট) ২০২২ উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভা আজ বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় সম্মেলন কক্ষে এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. এফ এম জাহিদুল ইসলাম জেলা ইপিআই সুপারিন্টেন্ডেন্ট হামিদ আলী, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা থোয়াইনু মং মারমা, হেলথ এডুকেটর কাজী মাসুদ, হেলথ এডুকেটর সম্পদ দে, হেলথ এডুকেটর প্রবীর মিত্র, স্টোর ইনচার্জ জাহেদুল ইসলাম প্রমূখ।
আলোচনা সভার পূর্বে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, জন্মের পরে পরিপূর্ণ সুস্থ সবল শিশুর জন্য মায়ের দুধের কোন বিকল্প নেই। জন্মের সাথে সাথে মায়ের শাল দুধই শিশুর প্রথম টিকা ও খাবার। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সংক্রামক থেকে শিশুকে দ্রুত রক্ষা করে। সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর খুব দ্রুত শাল দুধ খাওয়ালে মায়ের রক্তক্ষরণ কম হয় ও গর্ভফুল পড়তে সাহায্য করে। ফলে মা রক্ত স্বল্পতা থেকে রক্ষা পায়। শিশুকে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখতে হলে জন্মের পর পর প্রথম ৬ মাস অবশ্যই বুকের দুধ দিতে হবে। এর পর দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি ঘরে তৈরী শিশুর উপযোগী তরল সুষম ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। তাহলে শারীরিক-মানসিক বিকাশ সাধনসহ শিশুটি বুদ্ধিমান হবে। সন্তান প্রসবের পর কোন মা মারা গেলে শুধুমাত্র ঐ শিশুকে অন্য মায়ের দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে বা রেজিষ্ট্রার্ড শিশু চিকিৎসকেরা তাদের ব্যবস্থাপত্রে কারণ উল্লেখ করে বিকল্প হিসেবে ভালোমানের গুঁড়ো দুধ দিতে পারবে।
জেএন/কেকে