স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ভাসানচরে অত্যন্ত ভাল পরিবেশে রোহিঙ্গারা বসবাস করছেন। এখানে রোহিঙ্গাদের জন্য খাবার, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। রোহিঙ্গারা কক্সবাজার থেকে ধীরে ধীরে ভাসানচরে চলে আসবেন বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নতুন পোশাকের উদ্বোধন ও ভাসানচর ক্যাম্প এলাকাটি ড্রোনের মাধ্যমে নিরীক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে বলেন, ‘ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য খাবার, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আমরা চাচ্ছি রোহিঙ্গারা কক্সবাজার থেকে ধীরে ধীরে ভাসানচরে আসুক। এখানে খাবার দিচ্ছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর)। আমরা এর বাইরে যাবতীয় সবকিছু দিচ্ছি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গারা যেন পালিয়ে যেতে না পারে এবং কোনো দালালের খপ্পরে না পড়তে পারে সেজন্য কোস্টগার্ড কাজ করছে। এছাড়া তারা যেন কোনো ট্র্যাপে না পড়ে, ভুল তথ্য দিয়ে যেন মানবপাচারকারীরা রোহিঙ্গাদের নিয়ে যেতে না পারে, তা দেখাশোনা করবে কোস্টগার্ড।
তিনি বলেন, ড্রোন দিয়ে কোস্টগার্ড সবকিছু মনিটরিং করবে। তাদের হাতে সবকিছু ন্যন্ত করা হয়েছে। আমরা চাই রোহিঙ্গারা যেন নির্ভয়ে এখানে বসবাস করতে পারে এবং শিগগিরই যেন মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে।
মতবিনিময় শেষে মেঘনা কটেজের পাশে বৃক্ষরোপণ করেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভিআইপি কটেজ মেঘনা হতে ভাসানচর কোস্টগার্ড ষ্টেশনে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ব্যারাক পরিদর্শন করেন। ভাসানচর কোস্টগার্ড ষ্টেশন পরিদর্শন শেষে এনজিও ব্র্যাকের কৃষিজ বাগান এবং মাছের প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
এরআগে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের খোঁজ-খবর নেন।
কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরিদর্শন শেষে ভাসানচর হতে হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য রওয়ানা করেন।
জেএন/কেকে